জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
এর আগে গত মাসে ৩ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিটি সম্পর্কে তারা জানায় এই দাবি পালনের ক্ষমতা তাদের হাতে নেই।
তার প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আবারো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা।
অবরোধের ফলে ভবন দু’টিতে প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দিয়েছে অবরোধকারীরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করছেন। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সকল প্রশাসনিক কাজ।
এদিকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এসে আন্দোলনকারীদের বাঁধায় ঢুকাতে না পেরে ফিরে যান।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে আমরা আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। উপাচার্যকে আমরা কোন ধরনের প্রশাসনিক কাজ করতে দিবো না। আমরা তাকে যেখনেই পাবো সেখানেই অবরুদ্ধ করবো। উপাচার্য যেহেতু দুইটি প্রশাসনিক ভবনই তার প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করেন তাই আমরা দু’টি ভবনই অবরোধ করে রেখেছি। এছাড়া উপাচার্য যদি বাসায় বসে কোন প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাতে চায়, তাহলে প্রয়োজনে আমরা তার বাসায় গিয়ে প্রশাসনিক কাজে বাধা দিব।’
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে যে অভিযোগ এসেছে, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সেগুলো দূর করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এই অপবাদ থেকে মুক্ত করা। এটা আমরা স্বয়ং উপাচার্যকে বলেছিলাম আচার্যকে বলতে যাতে একটা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এই অপবাদ থেকে দায় মুক্ত করে মান সম্মান ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু উপাচার্য বারবারই চাটুকারিতা করেছেন। তাই আমরা বলতে চাই এই উপাচার্যের নিজ পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। ফলে উপাচার্যকে তার নিজ পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, ততদিন আমরা এ অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন