সিলেটের ওসমানীনগরে হারুন মিয়া (৩০) বাবুর্চীর পাশবিকতার শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৭)। গত শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার দয়ামীর ইউপির খালপাড় গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে হারুন মিয়াকে আসামী করে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ওসমানীনগর থানায় ধর্ষণ (মামলা নং-২০) দায়ের করেন। মামলার পর পর শুক্রবার রাতেই খালপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধর্ষক বাবুর্চী হারুনকে গ্রেফতার করেছে। হারুন উপজেলার দয়ামীর ইউপির খালপাড় গ্রামের মৃত ধনাই মিয়ার ছেলে। এদিকে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নির্যাতিতা কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বাবুর্চী হারুন মিয়ার রান্নার কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন ভিকটিম কিশোরীর মা ও বাবা। এর সুবাদে বাবুর্চী হারুন ঐ কিশোরীর ঘরে যাতায়াত করত। গত ২৯ আগস্ট বাবুর্চী হারুনের সাথে ঐ নির্যাতিতা কিশোরীর মা ও বাবা রান্নার কাজে বাড়ির পাশর্^বর্তী এলাকায় চলে গেলে এর সুযোগে হারুন মিয়া রাত ৯ টার দিকে কিশোরী ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব ধর্ষণ করে। অভিযোগে আরো জানা যায় ঐ কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত হারুনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন