৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত ইলিশ প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। ভোলায় মা-ইলিশরক্ষা অভিযানে প্রথম দিনেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ৫ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান ২ জেলেকে আটক করে প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।তাদের কাছ থেকে ৫৫ টি ইলিশ ও ২ টি পাঙ্গাশ মাছ পাওয়া যায়। চরফ্যাশন নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান ৫ জেলেকে আটক করে ৬০০ কেজি মাছ উদ্ধার করে প্রত্যেককে ১ মাসের করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। জাল ও নৌকা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মেঘনা নদীর ভোলার খাল এলাকায় নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে এদের আটক করে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এদের প্রত্যেক এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. সিরাজ মাঝি, মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মো. দুলাল হাওলাদার, মো. হান্নান মোল্লা ও মো. আব্দুর রহিম। এদের প্রত্যেকের বাড়ি সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে।
সদর উপজেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশের একটি টিম মেঘনা নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় মেঘনা নদীর ভোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১২ জেলেকে আটক করা হয়। এদের সাথে থাকা প্রায় দুই হাজার মিটার জাল ও ৬৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পরে এদের প্রত্যেককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জব্দকৃত জাল মেঘনা নদীর তুলাতুলি এলাকায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় ও মাছ বিভিন্ন এতিম খানা এবং গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন