সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শনিবার সকালে হাইমচরে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম। তিনি ছয় জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে মতলব উত্তর উপজেলায় আটক হয় ১০ জেলে। মতলব উত্তরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি নৌকা ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, শুক্রবার দিনগত রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল ও মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাকিল (২২), শিপন (১৯), আ. রহিম (৪০), সাগর হোসেন (২৪), মীর হোসেন (১৮), নাছির উদ্দিন (২২), মো. বাবু (২০), নজরুল ইসলাম (২৮), মো. মাসুদ (৩০), মো. দুলাল (২৫)।
অপরদিকে, হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা এলাকায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ আহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয় ছয় জেলে। এ সময় ১৫০ কেজি মা ইলিশ ও দু’টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে টাস্কফোর্স।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম আটক ছয় জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- হাইমচর উপজেলার মজিবর রাঢ়ী (৪৫) ও সাইফুল ইসলাম (২০), সদর উপজেলার আক্কাছ খান (৪২), সুমন খান (৩৫), মো. আরিফ (২০) ও রিপন গাজী (১৮)।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি বলেন, দুই উপজেলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের আজ শনিবার সকালে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন