হেমন্তের আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকে। এসময় সূর্যের প্রখর আলোয় আকাশে ঘুরে বেড়ায় তুলোর মতো সারি সারি মেঘ। ঋতুর এসব বৈশিষ্ট্য পাল্টে গিয়ে হেমন্তের আকাশে এখন মেঘের ঘনঘটা। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও। অসময়ের এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে নগরবাসীর।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসে কর্মমুখী মানুষ পড়েছেন বিপাকে। সকালে অফিস যেতে পরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া, যানবাহনের স্বল্পতার কারণে অনেকেই সময় মতো অফিসে পৌঁছাতে পারেননি। অনেক অভিভাবক দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সন্তানকে পাঠাননি স্কুলে। আবার যারা গেছে, বৃষ্টির কারণে তাদেরকে পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ।
প্রতিদিনই সকাল সোয়া ৯টার মধ্যে অফিসে পৌঁছার চেষ্টা করেন সাদেক। ৯টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে অফিসে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গতকাল বৃষ্টির কারণে পৌঁছাতে দেরি হয় তার। তার ভাষ্যমতে, বৃষ্টির কারণে গণপরিবহনে জায়গা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, সকালে সাধারণত রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে বাইকে অফিসে যাই। এতে তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়। কিন্তু সকালে বৃষ্টি থাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কোনও বাসে উঠতে পারিনি। নিরুপায় হয়ে একটি বাইক ডেকে কিছুটা ভিজেই অফিসে ঢুকলাম, তাও সময়ের ১৫ মিনিট দেরিতে।
অন্যদিকে, বৃষ্টির ভেতরে রিকশায় করে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া সমীচীন মনে করেননি ধানমন্ডির শিউলি আক্তার। তার ভাষ্য, বৃষ্টিতে বাচ্চা ভিজলে ঠা-া লাগলে কিংবা জ্বর আসলে আরেক সমস্যা। তিনি বলেন, প্রতিদিন বাচ্চাকে রিকশায় করে স্কুলে নিয়ে যাই। বৃষ্টির জন্য আজকে নিয়ে যাইনি, যদি মাথায় পানি লেগে জ্বর হয়, এজন্য বললাম থাক আজকে না হয় একদিন না যাক।
আবার বৃষ্টির মধ্যে স্কুলে নিয়ে গিয়েও বিপাকে পড়েছেন কলাবাগানের বাসিন্দা হালিম চৌধুরী। তার ছেলেকে স্কুলে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় লেগেছে ২০ মিনিটের বেশি। তিনি জানান, সকালে বৃষ্টির মধ্যে যানবাহনের সমস্যা দেখা দেয়। রিকশা যেতে চায় না, আবার গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া চায়। পরে কলাবাগান থেকে ধানমন্ডিতে ৭০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন