যুবলীগের কাউন্সিল সামনে রেখে সংগঠনটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে। বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে কাউন্সিলে আসতে বারণ করা হয়েছে। দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানসহ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ অবস্থায় আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে বিতর্কিতদের কাউন্সিলর কিংবা ডেলিগেট না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত যুবলীগের জেলা, মহানগর ও এর আওতায় কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা বা নতুন করে গঠন না করার নির্দেশ দেয়াও হয়েছে।
সোমবার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চিঠিটি জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল সফল করতে জেলা ও মহানগর কমিটিগুলোর উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ‘জেলা ও জেলার শাখাসমূহের মৃত/নিহত যুবলীগ কর্মীদের নাম, ঠিকানা ও রাজনৈতিক পদবী ছবিসহ আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর উপ-কমিটিতে (যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়) প্রেরণ করতে হবে; ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেলা/জেলাধীন/মহানগর/মহানগরাধীন কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা বা নতুন করে গঠন করা যাবে না; প্রত্যেক জেলা/মহানগর শাখার ২৫ জন কাউন্সিলর ও ৫০ জন ডেলিগেটের নাম, মোবাইল নম্বরসহ আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর উপ-কমিটিতে (যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়) পাঠাতে হবে; কাউন্সিলর ও ডেলিগেট তালিকায় কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির নাম সংযুক্ত করা যাবে না; কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদিত জেলা/মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ/আহ্বায়ক কমিটির ফটোকপি আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দফতর উপ-কমিটিতে (যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়) পাঠাতে হবে; ৭ম কংগ্রেসের দিন প্রত্যেক জেলা/মহানগর শাখার জন্য নির্ধারিত খাবার স্ব-স্ব জেলা/মহানগর শাখার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক/যুগ্ম-আহ্বায়করা নিজ নিজ দায়িত্বে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন