দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকসহ ৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
গত সোমবার (২৮আগস্ট) রাতে উপজেলার বারাই হাট নামক এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে ফুলবাড়ী থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার(২৯আগস্ট) রাতে ধর্ষকসহ ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর মা।
এঘটনায় পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলেন, উপজেলা ঝাঁঝিরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৭),একই উপজেলার রাঙ্গামাটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের জার্জিস আলমের ছেলে আরিফুল রহমান মিস্টার (২৪),একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মশিউর রহমান (২৫) ও জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাহিনুর আলম (৩৫)।
এই মামলায় অপর আসামীরা হলেন সিন্দুর হাটা গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে রাসেল (২৫), রাঙ্গামাটি গ্রামের এসকেন্দারের ছেলে মিনাজুল (২৬) ও মালচি গ্রামের সাজুর ছেলে সজিব (২৪)।
ধর্ষিতার মা বলেন, পুর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে আব্দুর রহমান, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের উদ্দ্যেশে মটর সাইকেল যোগে দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় তার মেয়ে আব্দুর রহমানের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে মটর সাইকেল থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্ঠা করলে, বারাই হাটের সন্নিকটে থাকা আরিফুর রহমান মিষ্টার মশিউর রহমান (২৫) সাহিনুর আলমসহ কয়েকজন যুবক তাদের মটর সাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞসাবাদের পর মেয়েটিকে সাহায্য করার কথা বলে,পাশের একটি লিচু বাগানে নিয়ে আরিফুর রহমান মিষ্টার জোর পূর্বক ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানান তিনি। এসময় তার মেয়ে আত্মচিৎকার করলে পথচারী ও টহল পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষকসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি ফকরুল ইসলাম বলেন বারাই হাট এলাকায় পুলিশ টহল দেয়ার সময়, একটি মেয়ের চিৎকার শুনে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে,তাৎক্ষণিকভাবে ৪ যুবককে আটক করা হয়। এই ঘটনায় মেয়ের মা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে ধৃত ৪ যুবকসহ ৭জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন