পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাশেমের ছেলে শওত আজিজ রাসেলের বিলাস বহুল গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় আটক করে গাড়িটি তল্লাশি করে মাদক ও গুলি গুলো উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পুলিশ ওই গাড়ি (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৩-৮৩৭৫) থেকে ২৮ রাউন্ড গুলি, এক হাজার দুইশ পিস ইয়াবা, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, ৪৮ ক্যান বিয়ার এবং নগদ ২২ হাজার তিনশ টাকা উদ্ধার করে। ওই সময় গাড়ির চালক মোঃ সুমনকে আটক করা হয়।
তবে গাড়িটি আটকের দেড় ঘন্টা আগে ঢাকার তেজগাঁও সাতরাস্তায় মগবাজার ফ্লাইওভারের উপর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীর সঙ্গে গাড়ির মালিকের বাদানুবাদ হয়। এরপরই গাড়িটিকে আটক দেখানো হয় এবং গাড়ির ভেতর থেকে উল্লেখিত মাদক ও গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার গভীর রাত ১টায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে তার ঢাকায় বাসায় নামিয়ে দিয়ে তার গাড়ির চালক ও দেহরক্ষী নারায়ণগঞ্জ ফিরছিল। মগবাজার ফ্লাইওভারে পৌঁছার পর কোন কিছু নিয়ে পুলিশ সুপারের গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীর সঙ্গে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাশেমের ছোট ছেলে শওকত আজিজ রাসেলের কোন কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর পুলিশ সুপারের গাড়িটি রাসেলের গাড়িটিকে অনুসরণ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে রাসেলের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের দিকে আসতে থাকলে পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী কনেস্টেবল নাজমুল ইসলাম ঘটনাটি ডিবি পুলিশের এসআই আবদুল জলিলকে অবহিত করেন। আবদুল জলিল ফোর্স নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়িটির গতিরোধ করে তল্লাশি করে। ওই সময় গাড়ির ভেতর থেকে ওই সব মাদক ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে ওই সময় গাড়ির ভেতরে চালক সুমন ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন