যশোর ডিবি পুলিশ খুলনা, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা চোর চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চোরাইকৃত ২২ লাখ টাকা মুল্যের টায়ার।
রোববার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের এই অভিযানের বর্ণনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের, ওসি ডিবি মারুফ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। জানানো হয়, গত ৩০ জুন রাতে যশোর খুলনা সড়কের বকচর ইষ্টার্ণ মোটরসের তালা ভেঙে প্রায় ৮ লাখ টাকা মুল্যের ৪০ টি টায়ার, নগদ ৭০ হাজার টাকা, ২৩টি চেকসহ মুল্যবান কাগজপত্র চুরি হয়। এব্যাপারে এই দোকান মালিক কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।
এরপর একই ভাবে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃত্তিপুর ট্রাক টার্মিনালের সামনে হাবিব টায়ার হাউজের দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ১৯ লাখ টাকা মুল্যের ৫২টি টায়ার চুরি হয়। এ ব্যাপারেও ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন দোকান মালিক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এই দুটি মামলার তদন্ত শুরু করে যশোর ডিবি পুলিশ। ক্লু-বিহীন এই চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদের নেতৃত্বে এসআই অরুন কুমার দাস ও এসআই শাশীম হোসেন ফরিদপুর, খুলনা ও কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা চোর চক্রের ৮ সদস্যকে শনিবার আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে দুই মামলার চুরি হওয়া ৬৪টি টায়ার উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য ২২ লাখ টাকা। আটককৃতরা হলো বরগুনা আমতলীর ইউনুস হাওলাদারের ছেলে শাহবুদ্দিন হাওলাদার সাবু, হাতেম গাজীর ছেলে মনির হোসেন, মোতালেব মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা, ভোলার লালমোহন এলাকার মুত মোকসেদ হাওলাদারের ছেলে আফসার, পটুয়াখালীর সোবহান সিকদারের ছেলে আবুল কালাম, মান্নান সরদারের ছেলে মনোয়ার হোসেন, শরীয়াতপুরের গোসাইরহাটোর মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে মফিজ হোসেন এবং সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চড়িয়াশিকার এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে আবুল কালাম আজাদ।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর, দিনাজপুর, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, ঢাকা, নারায়গঞ্জ, গাজীপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত ৬/৭ বছর ধরে চুরি করে আসছে। রবিবার এদেরকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করবে ডিবি পুলিশ।
ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, আটককৃতদেরকে কৌশলে শনিবার ফরিদপুর থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা জানায়, তারা ফরিদপুরে জড়ো হয়েছিল। তাদের পরবর্তী অভিযানের জন্য। এরা ধরা পড়ার আগে সাতক্ষীরার একটি দোকান থেকে বেশ কিছু গাড়ির ব্যাটারি চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরে সাতক্ষীরা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে এই ব্যাটারি চুরির মামলায়ও আটক দেখানো হবে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন