সাতদিনের সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি সদর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল দাস অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় আপিলের শর্তে আদালত তাকে জামিন দেন। সোমবার ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. তোফায়েল হাসানের আদালতে আত্মসমর্পন করেন টিপু লাল দাস। তার পক্ষে আদালতে জামিন প্রার্থণা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু, অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার ও অ্যাডভোকেট আসম মাহমুদুর রহমান পারভেজ।
একাধিকবার তাগিদ দেওয়ার পরও আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় গত ৬ নভেম্বর এসআই টিপু লাল দাসকে সাতদিনের কারাদ- ও ২৫০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। টিপু লাল দাস বর্তমানে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় কর্মরত রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ভাওতিতা গ্রামে রফিক মল্লিকের বসত ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী নাছিমা আক্তারের (৩৫) মৃত্যু মৃত দেহ উদ্ধার করে। নাছিমা আক্তারকে যৌতুকের দাবীতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে তার ভাই আলম হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই সময়ে ঝালকাঠি থানায় কর্মরত এসআই টিপু লাল দাস মৃত ওই নারীর সুরতহাল তৈরি করেন। সুরতহাল প্রস্তুতকারী হিসেবে এসআই টিপু লাল দাস এ মামলার একজন সাক্ষী । টিপু লাল দাস ঝালকাঠি থেকে বদলি হয়ে গেলে আদালত একাধিকবার তাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ওয়ারেন্ট পাঠান। আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় এসআই টিপু লাল দাসের বিরুদ্ধে আদালত গত ১৬ অক্টোবর কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠান। ৬ নভেম্বর এ মামলার ধার্য্য তারিখে আদালতে এসআই টিপু লাল দাস উপস্থিত না হওয়ায় তাকে কারাদ- প্রদান করা হয়। টিপু লাল দাসের পক্ষে আদালতে তার আইনজীবীরা জানান, টিপু লাল দাস বর্তমানে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি মুলাদী থানায় কর্মরত ছিলেন। আদালতের ওয়ারেন্ট এবং সমন মুলাদী থানায় পাঠানো হয়েছে। সে কারনে ওয়ারেন্ট এবং সমনের বিষয় তিনি অবগত ছিলেন না। শুনানী শেষে আদালত ভুলস্বীকার করে এফিডেভিট প্রদান এবং বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় ঝালকাঠি সদর থানার ওসির বন্ডে এক মাসের মধ্যে আপিল দায়েরের শর্তে টিপু লালের জামিন মঞ্জুর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন