ঢাকার আশুলিয়ায় ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে হারুন (২৫) নামের এক শ্রমিককে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে যুবলীগ নেতা ও তার লোকজন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজন ভুইয়া নামের এক যুবলীগ নেতাকে আটকের পর রবিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর দুপুরে আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সোহেল সরকার ও তার লোকজন ওই শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করে।
মামলা সুত্র ও আহত শ্রমিক বলেন, তিনি আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় তার পরিবারের সাথে থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে অসুস্থ্য থাকার কারনে গত তিন মাস আগে চাকরী ছেড়ে দেন। এখন আবারো চাকরী খুজছিলেন তিনি।
এদিকে গত মঙ্গলবার দুপুরে তেতুলতলা এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সোহেল সরকার, জুয়েল মোল্লা, একই ইউনিয়নের সাংগঠনিক পদ প্রার্থী রাজন ভুইয়া, যুবলীগ কর্মী শিপু, আরাফাত, সাগর ও টগরসহ প্রায় ৮/১০ জন মিলে তার পথের গতিরোধ। এসময় তারা ওই শ্রমিককে পাশের নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে এলোপাথারী পেটাতে শুরু করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের সন্ত্রাসী কর্মাকান্ড নিয়ে একটি সংবাদ ফেসবুকে শেয়ারের পর সেখানে কমেন্ট করে সুমন নামের তার এক বন্ধু। এরই জ্বের ধরে তার উপর হামলা চালানো হয়। তিনি কবির সরকারের এই সন্ত্রাসী বাহিনীর সকল সদস্যকে গ্রেফতারের দাবী জানান।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, এ ঘটনায় শনিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও রাজন নামের যুবলীগের এক সদস্যকে আটক করে তাকে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এর আগেও মাতাল হয়ে যুবলীগ নেতা রাজ ভুইয়া আরেক শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন