শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

হজরত আয়েশা (রা)ঃ মাতৃজাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যার ভূমিকা অতুলনীয়

প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কে এস সিদ্দিকী
উম্মুল মোমেনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর ওফাত বার্ষিকী ছিল ১৭ রমজান। হিজরী ৫৮ সালের এ দিনে মোতাবেক ১৩ জুন, ৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে ৬৭ বছর বয়সে হজরত আমীর মোআবিয়া (র.)-এর শাসনামলের শেষ দিকে উম্মুল মোমেনীন ইন্তেকাল করেন। মদীনার অস্থায়ী শাসন কর্তা হজরত আবু হোরায়রা (রা.) জানাজার নামাজ পড়ান এবং জান্নাতুল বাকী নামক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, হিজরী দ্বিতীয় সালের ১৭ রমজান বদরযুদ্ধ সংঘটিত হয় যা ছিল ইসলামে হক ও বাতিলের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ, তখন হজরত আয়েশা (রা.) এর বয়স হয়েছিল মাত্র দশ বছর। এর ৪৮ বছর পর তিনি একই মাসের একই দিনে ইন্তেকাল করেন। রাসূলুল্লাহ (স.) এর ওফাতের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। রাসূলুল্লাহ (স.) এর মদনী জীবনে বদরযুদ্ধ ছাড়াও ৮ম হিজরীতে ঐতিহাসিক মক্কা বিজয় রমজান মাসের ঘটনা। খেলাফতে রাশেদার আমলে খারেজী সম্প্রদায়ের তিন ষড়যন্ত্রকারী কর্তৃক হজরত আলী (রা.) মোআবিয়া (রা.) এবং আমর ইবনু আস (রা.)কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয় ১৭ রমজান এবং এর দুই দিন পর নরাধম ইবনে মুলজে কর্তৃক হজরত আলি (রা.) শহীদ হন। উমাইয়া আমলে মোহাম্মদ বিন কাসেম কর্তৃক সিন্ধু বিজয়ও রমজান মাসে সূচিত হয়। রমজান মাসে সংঘটিত এরূপ আরো বহু ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। নুজুলে কোরআন, এতেকাফ, তারাবীহ, শবে কদর ইত্যাদি রমজানের ধর্মীয় তাৎপর্য ও আত্মশুদ্ধির প্রতীকী নিদর্শনাবলী। রমজানের এসব দিবসে সংঘটিত ঘটনাবলীর ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও মাহাত্মের মধ্যে হযরত আয়েশা (রা.)-এর ওফাত বার্ষিকীকে গুরুত্বহীন ও খাটো করার অবকাশ নেই। কেননা হযরত আয়েশা (রা.) ছিলেন রাসূলুল্লা (স.)-এর সব চেয়ে প্রিয় এবং একমাত্র কুমারী স্ত্রী। তার পিতা ছিলেন বয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী এবং প্রথম খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আবু বকর সিদ্দিকী (রা)। রাসূলুল্লাহ (স.)-এর সার্বক্ষণিক অন্তরঙ্গ সহচর একান্তসঙ্গী এবং দুই এর দ্বিতীয় এতগুলো বৈশিষ্ট্য নিয়েও হযরত আয়েশা (রা.) কখনো গর্ববোধ করতেন না অথচ তাঁর পিতা ছিলেন রাসূলুল্লাহ (স.)-এর শ্বশুর।
উম্মুল মোমেনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকী (রা.) ছিলেন ৯টি বৈশিষ্ট্যের অধিকারিণী দুনিয়ার একমাত্র রমণী যা আর কোনো নারীর মধ্যে দেখা যায় না। অন্যান্য উম্মাহাতুল মোমেনীনও বিশেষ বিশেষ যোগ্যতা, চারিত্রিক গুণাবলী এবং নানা ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যের অধিকারিণী ছিলেন কিন্তু হজরত আয়েশা (রা.)-এর সংসার জীবনে রাসূলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গিনী হিসেবে তাঁর জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল সম্পূর্ণ বিচিত্র ও ভিন্নধর্মী, বিশ্বের নারী জগতে যা একেবারেই বিরল দৃষ্টান্ত খোদ হজরত আয়েশা (রা.)-এর জবানী সেই বিবরণ শোনা যেতে পারে। হাকেমের ‘মোস্তাদরেক’ ও ইবনে সাদর তবকাত-এর বর্ণনা অনুযায়ী :
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি গর্ব করে বলছি না বরং ঘটনা হিসেবে বলতে চাই যে, আল্লাহতালা আমাকে এমন ৯টি বিষয় দান করেছেন যা আমি ব্যতীত দুনিয়ার অপর কারো ভাগ্যে জুটেনি। সেগুলো হচ্ছে:
(১) স্বপ্নযোগে ফেরেশতা আমার সূরত (রূপ-অবয়ব) রাসূলুল্লাহ (স.)-এর সামনে উপস্থাপন করেন,
(২) আমার সাত বছর বয়সকালে তাঁর সাথে আমার নিকাহ (শাদী) হয়,
(৩) যখন আমার বয়স ৯ বছর, তখন আমার রুশমত হয়,
(৪) আমি ব্যতীত অপর কোনো কুমারী স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (স.)-এর খেদমতে ছিলেন না,
(৫) তিনি যখন আমার বিছানায় থাকতেন, তখনই অহী নাজেল হতো,
(৬) আমি ছিলাম তাঁর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী,
(৭) আমার শানে কোরআনে আয়াত নাজেল হয়েছে,
(৮) আমি ফেরেশতা জিব্রাইলকে নিজের চোখে দেখেছি এবং
(৯) রাসূলুল্লাহ (স.) আমারই কোলে ওফাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
বোখারী ও তিরমিজির বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (স.) হযরত আয়েশা (রা.) সম্পর্কে  ঘোষণা করেছেন :
ফাখলু আয়েশাতা আলান্নিসায়ি কা ফাযলিম মারীদে আলা সায়িরিত-তো আমি। অর্থাৎ সাধারণ নারীদের মধ্যে আয়েশা (রা.)-এর মর্যাদা এইভাবে গণ্য, যেমন সাধারণ খাবারগুলোর মধ্যে সারীদের (বিশেষ ধরনের খাবার) মর্যাদা।
বর্ণিত আছে যে, খোদ রাসূলুল্লাহ (স.)-কে ‘রুইয়ায়েসাদেকা’ বা সৃত্যু স্বপ্নের মাধ্যমে হযরত আয়েশা (রা.) তাঁর স্ত্রী হবেন বলে সুসংবাদ শুনানো হয়েছে। হযরত আয়েশা (রা.)-এর বিছানা ব্যতীত অপর কোনো বিছানায় অহী নাজেল হয়নি, তারই বিছানায় হযরত জিব্রাইল (আ:) তাঁর সালাম পেশ করেছেন, জিব্রাইল আমিনকে হযরত আয়েশা (রা.) দুইবার নিজ চোখে দেখেছেন, আল্লাহর পক্ষ হতে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করা হয়েছে এবং অহির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (স.)-কে সুসংবাদ জানানো হয়েছে যে, আয়েশা (রা.) হবেন তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়।
বিভিন্ন হাদীসে এসব বর্ণনা রয়েছে। উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা (রা.) যথার্থই তাঁর এসব বৈশিষ্ট্যের কথা ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, গর্ব অহংকার হিসেবে নয়। এটাও তাঁর বিনয়-বিন¤্রতার বড় পরিচয়। তিনি যদি গর্ব-অহংকার হিসেবেও উল্লেখ করতেন তাও হতো তাঁর পক্ষে খুবই শোভনীয় ও বাস্তব ধর্মীয়। এবং তাঁর অতি আদুরে কন্যা হযরত আয়েশা (রা.) ছিলেন হুজুর (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী উম্মুল মোমেনীন বা মুসলিম উম্মার জননী। ইন্তেকালের পর হজরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) রাসূলুল্লাহ (স.)-এর কবরের পাশেই তিনি চিরশায়িত।
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর পরিবারের বংশানুক্রমে তিন পুরুষ ছিলেন মহান সাহাবী এ সৌভাগ্য একমাত্র তাঁরই হয়েছিল। তাঁর মহান পিতা উসমান (রা.) আবু কোহাফা নামে পরিচিত ছিলেন এবং তাঁর জীবদ্দশায় তিনি প্রিয়পুত্র আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-কে মুসলমানদের প্রথম খলিফা হিসেবে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন। খলিফা পুত্রের ইন্তেকালের কয়েক বছর পর হজরত আবু কোহাফা (র.) ইন্তেকাল করেন।
হজরত আয়েশা (রা.)-এর বংশ-মর্যাদা
বিভিন্ন দিক দিয়ে উম্মুল মোমেনীন হজরত আয়েশা (রা.) ছিলেন শ্রেষ্ঠ নারীদের সেরা, তেমনি বংশ-মর্যাদার দিক থেকেও আরবের শ্রেষ্ঠ বংশের রমণী। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ কুনিয়াত বা উপনাম আবু বকর এবং সিদ্দিক লকব বা উপাধি। মায়ের নাম উমেম রুমান। পিতার দিক থেকে বংশধারা কোরেশিয়া তাইমিয়া এবং মায়ের দিক থেকে কে নানিয়া। উম্মুল মোমেনীনের বংশধারা সপ্তম-অষ্টম পুরুষে মুররা ইবনে কাবের সাথে রাসূলুল্লাহ (স.)-এর বংশধারার সাথে মিলে যায় এবং মায়ের দিক থেকে একাদশ-দ্বাদশ ঊর্ধ্বতন পুরুষ মালেক ইবনে কেনার সাথে মিলে যায়, যা রাসূলুল্লাহ (স.)-এর বংশ। অর্থাৎ ঊর্ধ্বতন বংশের দিক থেকে রাসূলুল্লাহ (স.) ও উম্মুল মোমেনীন একই বংশের।
হজরত আয়েশা (রা.)-এর দাদার নাম উসমান, তবে তিনি কুনিয়াত আবু কোহাফা নামে খ্যাত ছিলেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর পিতা-মাতা তাইম গোত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ বংশের লোকেরা চারিত্রিক গুণাবলী ও তাহজীব তমদ্দুনে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাইমের কন্যাদের সম্পর্কে প্রসিদ্ধ আছে যে, তারা নিজেদের উত্তম গুণাবলীর দ্বারা স্বামীদের আপন ও মুগ্ধ করে রাখতেন। বলা হয়ে থাকে, এ গোত্র  বহুকাল পূর্ব থেকে তাহজীব-তমদ্দুন ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখে। ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল এ বংশের পৈতৃক পেশা ও বিশেষ কর্মতৎপরতা বনু তাইম গোত্র তমদ্দুনিক ও সামাজিক জীবনে অগ্রসরমান ছিল। এ সুবাদে হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর ঘরানা সামাজিক উত্তম গুণাবলীর কারণে আরব খান্দানগুলোর মধ্যে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ছিল। এ বংশ মর্যাদা ও পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রভাব হজরত আয়েশা (রা.)-এর মধ্যে পূর্ণ বিদ্যমান ছিল । যা তাঁর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছিল।
তাঁর নাম আয়েশা (রা.), সিদ্দিকা উপাধি, উম্মুল মোমেনীন খেতাব, উম্মে আব্দুল্লাহ কুনিয়াত এবং হোমায়রা উপাধি। অর্থাৎ ফর্সা সুন্দরীকে হোমায়রা বলা হয়, বাস্তবেও তিনি তাই ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (স.) আদর করে তাঁকে এ নামেই ডাকতেন। নির্ভরযোগ্য বর্ণনা অনুযায়ী, হজরত আয়েশা (রা.)-এর জন্ম পঞ্চম নবুওয়াত বর্ষের শেষ দিকে। অর্থাৎ হিজরত-পূর্ব নবম বর্ষের শওয়াল মাস, মোতাবেক ৬১৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাস। উল্লেখ্য, নবুওয়াতের ২৩ বছরের মধ্যে প্রায় ১৩ বছর মক্কায় এবং দশ বছর মদীনায় অতিবাহিত হয়। হজরত আয়েশা (রা.) যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন নবুওয়াতের চার বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। বলা হয়, হজরত আয়েশা (রা.)-এর স্থান ইসলামকে সেসব মহান ব্যক্তির মধ্যে, যাদের কানে কখনো কোফর ও শিরকের শব্দ পৌঁছেনি। খোদ হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, যখন থেকে আমি স্বীয় পিতা-মাতাকে চিনেছি, তাদেরকে মুসলমান পেয়েছি।  (বোখারী)
হজরত আয়েশা (রা.) বহুমুখী প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, তবে স্বভাবগতভাবে শৈশব অন্যান্য বাচ্চাদের ন্যায় খেলাধুলার প্রতি তাঁর ঝোঁক ও আকর্ষণ ছিল প্রবল। খেলাধুলায় মহল্লায় মেয়েরা এসে তাঁর সাথে যোগ দিতো এবং তিনি ওদের সাথে খেলাধুলায় যোগ দিতেন। এ শৈশবে ও তিনি খেলাধুলার সময় রাসূলুল্লাহ (স.)-কে দেখলে সর্বদা তাঁর প্রতি আদব ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। প্রায় লক্ষ্য করা যেতো যে, হজরত আয়েশা (রা.) যখন খেলায়রত থাকতেন এবং আশপাশে তাঁর বান্ধবীদের ভিড় লেগে থাকতো, রাসূলুল্লাহ (স.) সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্র তাড়াতাড়ি তিনি পুতুলগুলো লুকিয়ে ফেলতেন, বান্ধবীরা তাঁকে দেখে, এদিক-সেদিক আত্মগোপন করতো কিন্তু যেহেতু তিনি বাচ্চাদেরকে অতি ভালো বাসতেন এবং তাদের খেলাধুলাকে অপছন্দ করতেন না, তাই মেয়েদেরকে আবার ডেকে ডেকে হজরত আয়েশা (রা.)-এর সাথে খেলতেন। (ইবনে মাজা) সকল প্রকারের খেলাধুলার মধ্যে হজরত আয়েশা (রা.) এর অধিক আকর্ষণ ছিল পুতুল খেলা ও দোলনায় ঝোলা। (আবু দাউদ)
একবার হজরত আয়েশা পুতুল নিয়ে খেলা করছিলেন, এ সময় রাসূলুল্লাহ (স.) সেখানে পৌঁছেন পুতুলগুলোর মধ্যে একটি ঘোড়াও ছিল। ঘোড়াটির ডান ও বাম দিকে দুটি পালক লাগানো ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন আয়েশা এটা কী? জবাব দিলেন, ঘোড়া। তিনি বললেন, ঘোড়াদের তো পালক হয় না। আয়েশা (রা.) তৎক্ষণাৎ বললেন, কেন? হজরত সুলায়মান (আ.)-এর ঘোড়াগুলোর তো পালক ছিল। হুজুর (স.) তাঁর তাৎক্ষণিক এ জবাব শুনে হেসে দিলেন। (মেশকাত)
সাধারণত খেলাধুলার এ বয়সে শিশুদের অনেক কথাই স্মরণ থাকে না কিন্তু হজরত আয়েশা (রা.) ছিলেন তাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী, সে সময়কার অনেক কথাই অবিকল তিনি বলতে পারতেন। হিজরতের সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র আট বছর অথচ হিজরতের বিস্তারিত ঘটনা ও খুঁটিনাটি বহু বিষয় তাঁরই বর্ণিত, আর কোনো সাহাবী এরূপ ছিলেন না।
হজরত আয়েশা (রা.) এর সাথে রাসূলুল্লাহ (স.)-এর শাদী মোবারক হওয়ার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (স.) স্বপ্নে দেখেন যে, একজন ফেরেশতা রেশমের কাপড়ে লেপটে তাঁর সামনে কোনো বস্তু পেশ করছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কী? ফেরেশতা জবাব দিলেন  এটি আপার স্ত্রী। তিনি খুলে দেখলেন, হজরত আয়েশা (রা.)। (বোখারী)
হজরত আয়েশা (রা.)-এর বয়স যখন ছয় বছর তখন তাঁর বিয়ে হয়। ঐ সময় তিনি খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিলেন তাঁকে সেখান থেকে গৃহে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হজরত আবু বকর (রা.) বিয়ে পড়ান। বিশ্বস্ত বর্ণনা অনুযায়ী মোহরানা ধার্য হয়েছিল পাঁচশ দেরহাম। বিয়ের সন নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। একটি মত অনুযায়ী, যে বছর হজরত খাদিজা (রা.) ইন্তেকাল করেন সে বছরই বিয়ে হয়। ভিন্নমতে তাঁর ইন্তেকালের তিন বছর পরের ঘটনা এটি, তবে হিজরতের পূর্বে।[চলমান]

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন