বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সরকার ও সরকারি দল এখন পুরোপুরি উল্টো দিকে হাঁটছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার সে অঙ্গীকারতো বাস্তবায়ন করা হয়নি বরং এখন মানুষের সামান্য যেটুকু গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল ভোটাধিকার প্রয়োগ করা গত ২টি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সেটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হচ্ছে। অপরদিকে দিনকে দিন গরীব আরো গরীব হচ্ছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার না থাকায় দরিদ্র মানুষ এখন মানসিকভাবেও পুরোপুরি গরীব হয়ে গেছে।
গতকাল সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা এ কথা বলেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক এর নেতৃত্বে মাল্যদান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাপোলো জামালী, ¯িœগ্ধা সুলতানা ইভা, শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, অরবিন্দু বেপারী, হুমায়ুন মুজিব, ছাত্রনেতা জোনায়েদ হোসেন, অনিমেষ দাস প্রমুখ। পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত এবং ব্রিফিং সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাইফুল হক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ডাকাতির মাধ্যমে ২৯ তারিখ রাতের আঁধারে সিল মেরে ক্ষমতা জবরদখল করে মানুষকে সামাজিক, মানবিক মর্যাদাহীন করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে। এই অপমান দেশের মানুষ এখন সহ্য করতে পারছে না। সবদিকে ব্যর্থ এইসব শাসকশ্রেণীর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের মধ্য দিয়েই কেবল মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে। তিনি বলেন, দেশের সকল গণতান্ত্রিকমান, সচেতন সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির এক বছরে কালো পতাকাসহ মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসুচিতে সকলকে আহ্বান জানান। পার্টি ছাড়াও সংগঠনের নেতৃবৃন্দও ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশের বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন এবং সংহতি সংস্কৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন