বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় নৈরাজ্যের দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। সোমবার পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিংয়ে নেতারা এ কথা বলেন।
নেতারা লকডাউন আর জোন ঘোষণা নিয়ে দড়ি টানাটানি বন্ধ করে মহামারির ভয়াবহতা মোকাবেলায় করোনা হটস্পটে অবিলম্বে সর্বাত্মক লকডাউন বলবত করার আহবান জানান। সেই সাথে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার এবং এমপিদের জন্য বরাদ্দ করা ৬৪৭৬ কোটি টাকা মহামারি মোকাবেলায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।
সভায় নেতারা বলেন,লকডাউন আর জোন ঘোষণা নিয়ে যে বিভ্রান্তি তা সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতার বহিঃপ্রকাশ। সরকারের মধ্যকার এই সব সমন্বয়হীনতার কারণে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সংক্রমনের চার মাস পরেও এখনও নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি বিদ্যমান। এখনও পর্যন্ত করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেহাল ও ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। প্রয়োজনীয় মাত্রায় পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় হাজার হাজার সংক্রমনের নানা উপসর্গ নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সামাজিক সংক্রমন জ্যামিতিক হারে বাড়িয়ে চলেছে। সভায় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মহামারী দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের একের পর এক ভুল, আত্মঘাতি ও সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের কারণে আজ দেশের হাজার হাজার মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে। এই পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
সভার শুরুতে সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভাষা সংগ্রামী শব্দসৈনিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার সংগ্রামী জীবনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে রাজনৈতিক পরিষদের এই অনলাইন মিটিং এ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন