মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

নেপালে সাইক্লিং ব্যর্থতার নেপথ্যে!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৪৮ পিএম

সদ্য সমাপ্ত নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে চরম ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ সাইক্লিং দল। অথচ গেমস শুরু আগে প্রস্তুতির কমতি ছিল না। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) সাইক্লিংয়ের এসএ গেমস ক্যাম্পে সর্বাতœক সহযোগিতা করলেও ফেডারেশন তাদের কোন পদকই উহার দিতে পারেনি। এসএ গেমসের আগে গোপালগঞ্জে চার মাসের অনুশলীন। নেপালে ২০ দিনের। কাঠমান্ডুতে গিয়ে খেলা শুরুর আগে নতুন সাইকেল কিনেও লাভ হয়নি বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের। উল্টো সাইক্লিষ্টদের সময়ক্ষেপন ও প্যাডেলে গিয়ার তুলতে না পারায় কাঠমান্ডু থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ সাইক্লিং দলকে। যেখানে আরচ্যারি জাতিকে উপহার দিয়েছে ১০ স্বর্ণপদক। কারাতে তিন, ভারোত্তোলন ও ক্রিকেট দু’টি করে এবং তায়কোয়ান্ডো ও ফেন্সিং একটি করে সোনা, সেখানে সাইক্লিং করেছে হতাশ। অভিযোগ রয়েছে, ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটির অদক্ষ কিছু কর্মকর্তার দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকা-ের জন্যই অতীত গৌরব হারাতে বসেছে লাল-সবুজের সাইক্লিং।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস বলেন,‘গুটি কয়েক লোক ইচ্ছে মতো ফেডারেশনকে চালাচ্ছেন। ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সাইক্লিং দিনকে দিন পিছিয়ে পড়ছে। দু’বছর ধরে বর্তমান অ্যাডহক কমিটি বহাল থাকলেও উন্নতির লক্ষ্মণ নেই। এমনকি নির্বাচন নিয়েও কারো মাথা ব্যথা নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন চান না এই কমিটির কর্তারা। আর ফেডারেশন কর্তাদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীন কর্মকান্ডের প্রভাব পড়েছে সদ্য সমাপ্ত নেপাল এসএ গেমসে। গৌহাটি-শিলং গেমসের মতো এবার নেপাল থেকেও খালি হাতে ফিরেছে দেশের সাইক্লিংকে।’ তিনি যোগ করেন, ‘নেপালের কাঠমান্ডুতে মাউন্টেন বাইক ইভেন্টে খেলার আগে আমাদের সাইক্লিষ্টদের কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। ফলে খেলতে নেমে রেস অসমাপ্ত রেখে ফিরে এসে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ওই সাইক্লিষ্টরা। অথচ যারা এসএ গেমসে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকেই ২১ ডিসেম্বর কেরালায় অনুষ্ঠিতব্য ক্রস কান্ট্রি মাউন্টেন বাইক টুর্নামেন্টে খেলানো হবে বলে জানা গেছে। এটা দায়িত্বহীনতার পরিচয়।’

কুদ্দুস আরো বলেন,‘এসএ গেমস দলে মহিলা ম্যানেজারের পদ দিয়ে যাকে নেপাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনি সাইক্লিং কর্মকান্ডের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না। সুতারং টেকনিক্যাল বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ওই মহিলা ম্যানেজারের চেয়ে অনেক অভিজ্ঞ নারী সংগঠক ছিলেন সাইক্লিংয়ে। তাদের মধ্য থেকে একজনকে পদটি দেয়া যেত। আমি মনে করি কিছু অসাধু কর্মকর্তার স্বার্থেই ওই মহিলাকে ম্যানেজার বানিয়ে নেপাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইক্লিংয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে অচিরেই ফেডারেশনকে ঢেলে সাজানো দরকার।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন