পৌষ মাস। সকালে সূর্যের উত্তাপে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর আবহাওয়া হওয়ার কথা স্বচ্ছ। অথচ এ সময়ে রাজধানী ঢাকায় প্রবাহিত দূষিত বাতাস। শীতের উতলা হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় ধূলিকণা, কোথাও বিষাক্ত ধোঁয়া। ক্রমান্বয়ে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠা স্বপ্নের ঢাকা শহর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ‘দূষিত বাযুর শহর’ দৌঁড়ে কখনো হচ্ছে প্রথম কখনো হচ্ছে দ্বিতীয়। বায়ু দূষণ, পরিবেশ দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট, খাদ্য দূষণ, মশা, উন্নয়নের নামে এবরো থেবরো সড়ক, অপরিকল্পিত দালানকোঠায় বিষন্ন দশা হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা শহর। দেশের সর্ববৃহৎ এই শহরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি মানুষের বসবাস ক্রমান্বয়ে শহরকে পরিত্যাক্ত অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিষন্ন ঢাকা। শহরের এই দুর্দশা দেখে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদ ও নগরবিদরা।
ইতালির ভেনিস যেমন নদীর উপর গড়ে উঠা শহর; বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও তেমনি। ঢাকার চারপাশে দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা, পূর্বে শীতলক্ষা, পূর্ব-উত্তরে বালু, পর্ব-পশ্চিমে তুরাগ নদী। নীলনদের কন্যা কায়রোকে বলা হয় ‘নির্মল বাতাসের শহর’। বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহর ঢাকার নাম হয়ে গেছে ‘দ‚ষিত বাতাসের শহর’। অথচ নদী তীরে গড়ে উঠো বিশ্বের কোনো শহরে বায়ুদূষণে এতো বিপর্যয় দেখা যায় না। হাডসন নদী তীরে নিউইয়র্ক, টেমস্ নদী তীরে লন্ডন, সীন নদী তীরে প্যারিস, যমুনা নদী তীরে আগ্রা, মস্কোভা নদী তীরে মস্কো, সিন্ধু নদী তীরে করাচি, হোয়াংহো নদী বেইজিং, টাইগ্রিস নদী তীরে বাগদাদ শহরে এতো পরিবেশ দূষণ নেই। এমনিতেই বায়ু দূষণ তারপর পৌষের উতলা হাওয়ায় উড়ে আসা ধূলিকণা ঢাকার বাযু দ‚ষণের মাত্রা আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। শহরের চারপাশের ইটভাটার ধোঁয়া, যানবাহন আর কল-কারখানার চিমনি ছুঁয়ে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়ার বলয় প্রতিনিয়ত বায়ুতে বিষ ছড়াচ্ছে। রাজধানীর মানুষ এখন ঠিক মতো নিঃশ্বাস নিতে না পারায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
বায়ু দূষণ : গতকাল ঢাকা ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বায়ু দূষণ শহর। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিলো ২১০। বাতাসের এই মান খুবই অস্বাস্থ্যকর। দেশি-বিদেশি বেসরকারি গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, গত এক দশকে ঢাকায় দ‚ষণের মাত্রা ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। দ‚ষণের কারণ হিসেবে জনসংখ্যার অতিঘনত্ব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণকে দায়ী করছেন। ঘনবসতি বিবেচনায় ঢাকাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দ‚ষিত। গত ১২ ডিসেম্বর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার বাতাসে দ‚ষণের মাত্রা ছিল ২০৪। পরিবেশ অধিদফতর বাতাসে দ‚ষণের এই মাত্রাকে আনহেলদি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই মাত্রা আরও ভয়াবহ পর্যায়ে ছিল। চলতি মাসের প্রথম দিনে দ‚ষণের মাত্রায় ঢাকা দুনিয়ার সব শহরকে পেছনে ফেলে দিয়েছিল। সেদিন বাতাসে দ‚ষণের মাত্রা ছিলো ৩১৫। বাতাসের গুণমান স‚চক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুসারে যেটি ছিলো ভয়াবহ অস্বাস্থ্যকর।
শব্দ দূষণ : শব্দদূষণ মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্রবণশক্তি হ্রাস করে শব্দদূষণ। অথচ ঢাকা শব্দদূষণের শহর। গতকাল সচিবালয়ের চারপাশের রাস্তায় শব্দদূষণ বন্ধের নির্দেশনা জারী করা হয়েছে। সচিবালয়ের আশপাশের রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন থেকে হর্ণ বাজালেই জেল-জরিমানার বিধান করা হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ১৭ ডিসেম্বর কার্যকর করা হয়। আইনটি কার্যকরের আগে মিডিয়ায় প্রচারণাও চালানো হয়। কিন্তু পরিবেশ দূষণের ইনডেক্সে দেখা যায়, ঢাকার শব্দদ‚ষণ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সাধারণ মানুষ শব্দ দ‚ষণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা প্রত্যক্ষভাবে বুঝতে পারে না। শব্দ দ‚ষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবহিত নন।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে ১১০ ডেসিবল শব্দ মানুষের শরীরের চামড়ায় শিহরণ তোলে, ১২০ মাত্রায় যন্ত্রণা দিতে পারে, ১৩০-এ বমি ও কর্মক্ষমতা কমাতে পারে, ১৪০ কাল বা শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে আর ১৯০ ডেসিবল শব্দ মাত্রায় একেবারে নষ্ট হতে পারে মানুষের শ্রবণ শক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা শব্দ দ‚ষণ রোধ করতে না পারলে এই শব্দদূষণ হবে ঢাকার মানুষের জন্য হবে নীরব ঘাতক।
শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ এ হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এর চারপাশের ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ আইন লংঘন করে এসব প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে চলছে ফিটনেসবীহিন সব গাড়ি আর সেই সাথে বাড়ছে শব্দ দ‚ষণের মাত্রা। শব্দের মাত্রা নির্ধারণ থাকলেও তা মানছেন না কেউই। উচ্চমাত্রায় শব্দের কারণে বিপুল সংখ্যক শিশুর শ্রবণশক্তি হ্রাস, শিশু বধির ও বিকলাঙ্গ, মাথাব্যথা, বদহজম, অনিদ্রা, মনসংযোগ কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তিবোধ, মনোদৈহিক নানা সমস্যা, মানুষের শিরা ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রচন্ড চাপ পড়ছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ণ : ঢাকা পুরনো শহর হলেও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় ঢাকাকে আধুনিক শহর করতে কিছু কিছু উদ্যোগ নিলেও রাজধানী হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপুর্ণ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বর্তমানে নির্মাণাধীনসহ সাড়ে ৯ হাজার বহুতল ভবন ঝুঁকিপ‚র্ণ তালিকায় রয়েছে। শুধু পুরাতন ঢাকায় ৬৮৭ ভবন ভেঙে পড়ার অবস্থায়। মাঝে মাঝে কথাবার্তা হলেও এসব ভবন ভেঙে ফেলার বিষয়ে রাজউকের কোনো উদ্যোগ নেই। রাজউকের সর্বশেষ তালিকায় নির্মাণাধীনসহ ঝুঁকিপ‚র্ণ, অনুমোদনবিহীন ভবনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার। নির্মাণাধীন সাড়ে ৩ হাজার ভবন রাজউক কালো তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানা যায়। অবৈধভাবে যারা এসব ভবন নির্মাণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কালো তালিকাভুক্ত হাউজিং কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে রাজউক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে কোনো বিল্ডিং এ আগুন লাগলেই নিশ্চিত প্রাণহানি।
পানি দ‚ষণ : দেশে পানির উৎস অপরিসীম। অথচ অন্যান্য ক্রমবর্ধমান সমস্যার পাশাপাশি এখন গুরুত্বপ‚র্ণ সমস্যা হয়ে গেছে ‘নিরাপদ ও সুপেয় পানি’ সমস্যা। কারণ মাত্রাতিরিক্ত পানির দ‚ষণ। নিরাপদ পানির সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে। বিশুদ্ধ-সুপেয় পানি পান করতে পারছে না ঢাকার কোটি মানুষ। পানিবাহিত নানা রোগে অসংখ্য মানুষ ভুগছে। ঢাকার পানি সঙ্কট প্রকট। দূষিত পানি পান করতে হচ্ছে নাগরিকদের। ওয়াসা নিরাপদ পানির সুরাহা করতে পারছে না। ঢাকার পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন পরিস্থিতিও নাজুক। খাওয়ার পানিতে জোক, বজ্য, কেচো, দুর্গন্ধ এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। রাজধানী চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, বালু, তুরাগে ৬২ ধরণের মল ও রাসায়নিক বর্জ্য মিশে বিষাক্ত হচ্ছে। বুড়িগঙ্গার তলদেশে পলিথিনের বেশ কয়েকটি স্তর। আশপাশের ইটভাটার ধোঁয়া ও কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য সরাসরি নদীতে পতিত হওয়ায় নদীগুলোর পানির সাথে মিশে তা মারাত্মক ভাবে দ‚ষণ ঘটাচ্ছে। দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, ইটভাটা উন্নয়ন, ডাইনিং কারখানা, ট্যানারি বর্জ্য নদীর পানির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ঢাকার পরিবেশ করে তুলেছে দুষিত।
খাদ্যদ‚ষণ : দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রাজধানীবাসি বিপর্যন্ত। অধিক মূল্যে যে খাদ্যপণ্য ক্রয় করছে সেটাও ভেজাল। অপ্রত্যাশিত খাদ্যে ভেজাল সমস্যা মহামারী রূপ নিয়েছে। ভেজাল রোধে মাঝে মাঝে ভ্রম্যমাণ আদালত বসে, অভিযান পরিচালনায় জরিমানা করা হয়, যা অপ্রতুল। পানি, বায়ু, দূষণের মতোই মাছ, মাংস, ডিম, ফল, সব্জি, চাল, ডালসহ দৈনন্দিন খাবারের অধিকাংশই ভেজালে আক্রান্ত। মিষ্টি কুমড়া, হলুদের গুঁড়ায় কম দামি ডাল, বুটের ডালের বেসনে খেসারি বা কম ম‚ল্যের ডাল, মুগডালে মাশকলাই মিশ্রণ, সয়াবিন তেলে পামতেল মিশ্রণ, গাওয়া ঘি-এ সয়াবিন তেলের দ‚ষণ, দুধ থেকে ক্রিম তুলে তাতে কমদামি ক্রিম দূষণ, ইরি-২৮ মেশিনে ভেঙে ‘মিনিকেট চাল’ বিক্রি, জ্যান্ত কৈ, শিং, কাউন ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে মসলা, বিষ রঙে রাঙানো করমচাকে চেরিফল নামে বিক্রি হচ্ছে। ময়দা, চিনি, স্যাকারিন, আলু, ডালডা, গুঁড়া দুধ, রঙ, সেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরণের মিষ্টি। জিলাপি-চানাচুরে মবিল, বিস্কুট, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংসে, জুস, সেমাই, নুডলস, মিষ্টিতে, আচারে টেক্সটাইল, লেদার রঙ ও ডিডিটি, চিনিতে হাইড্রোজ, মুড়িতে ইউরিয়া-হাইড্রোজ, হলুদ, জিলিপি সন্দেশে লাড্ডু, যুগলিতে মেটানিল ইয়েলোসা ব্যাপকভাবে কমিয়ে ফেলতে পারে শুক্রানুর সংখ্যা। দুধ, মিষ্টিত ও ফলে ‘ফরমালিন’ ব্যবহার করা হয়। ফরমালিন ব্যবহারের ফলে মানুষের ফুসফুস সমস্যা, অ্যাজমা, ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতা, বিকলাঙ্ক শিশুর জন্ম, চোখ জ্বালাপোড়া ও মাথাব্যথা হতে পারে। কলা, আম, আপেল ইত্যাদি ফলের মধ্যেও ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। সবজিতে রাসায়নিক দ‚ষণের কারণে সবজি উৎপাদনে কীটনাশক ও বলাইনাশক ব্যবহার করা হয়।
যানজট : বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য মতে যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এই যানজটের কারণে বছরে যে আর্থিক ক্ষতি হয় অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। কয়েক বছরের বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে আর্থিক ক্ষতির এ আনুমানিক পরিমাণ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ রিপোর্টও পুরনো। বর্তমানের অবস্থা আরো শোচনীয়। ১০ মিনিট সময়ের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। কখনো কখনো এই সময় আরো বেশি লেগে যায়।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় বলা হয় ঢাকা শহরে এখন ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার গতিতে চলে যানবাহন। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির মতে এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মানুষ পায়ে হেঁটেই গাড়ির আগে যেতে পারবে গন্তব্যে। তীব্র যানজটের সময় গাড়ির আগে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নগরবাসীর কাছে অপরিচিত নয়। যানজটের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। রাজধানীর যানজট নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। যানজট কমাতে সেগুলো কতটুকু ভ‚মিকা রাখছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মশা : মশার বাড়বাড়ন্ত কিছুদিন আগে ডেঙ্গু রোগের পাদুর্ভাবই জানান দিয়ে গেছে। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নাগরিকরা। কিন্ত মশা নিধনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। রাজধানীর স্থানীয় সরকার তথা দুটি সিটি কর্পোরেশন মশা নিধন দূরের কথা মশার প্রকোপ কমাতে পারেনি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ দেখা গেলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের কথার ফুলঝুড়ি এবং মশা নিধনে ক্যামেরায় ফটো সেশন ছাড়া কিছুই দেখা যায়নি। গতকালও মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে বিপুল পরিমাণ অ্যারোসল সিটি কর্পোরেশনের অফিসে পড়ে রয়েছে; বিলি করা হয়নি। মশা ছাড়াও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা নাগরিক জীবন করে তুলেছে দুর্বিষহ।
বিশ্বের বসবাসের অনোপযোগী শহরের শীর্ষে থাকা এই ঢাকা শহরের রয়েছে অহংকার করার মতো ঐতিহ্য। স্থাপনা-পুরাকীর্তি মিলিয়ে আছে অহংকার করার মতো উপাদান। ৪শ বছরের পুরনো এই শহরের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলায় প্রয়োজন শুধু উদ্যোগ। ঢাকার চারপাশে ৪টি নদী। সে নদীর পাড়ে অবৈধভাবে হাজার হাজার স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। নদী হচ্ছে জীবনের প্রাণ। আন্তর্জাতিক শৈলীর রাজধানী ফ্রান্সের প্যারিস অথবা ১১৭টি ক্ষুদে দ্বীপের সংযুক্ত শহর ইতালির ভেনিসের মতোই ঢাকাকে মনোমুগ্ধকর শহর হিসেবে তোলা যেতে পারে। প্রয়োজন শুধু উদোগ। আমরা কী প্রাণের শহর ঢাকাকে স্বপ্নের শহর করার পথে হাটবো; নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তীলক নিয়ে থাকবো? #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন