ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে অংশ নিতে দলে দলে আসছেন কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা। তারা সম্মেলন স্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্ধারিত প্রবেশ পথসহ আশপাশে অবস্থান করছেন। অপেক্ষায় আছেন প্রবেশ পথ খুলে দেওয়ার। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সম্মেলন এলাকা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর হতেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাউন্সিলরসহ দলের নেতাকর্মীরা দলে দলে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে জড়ো হতে থাকেন। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের প্রবেশপথ ও আশপাশ এলাকা জমজমাট হয়ে উঠেছে। সম্মেলনকে ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’— এই স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন শুরু হবে আজ বিকাল তিনটায়।
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা ও দলের সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। দলের জেলা নেতারাও উত্তোলন করবেন পতাকা। পরিবেশন করা হবে জাতীয় সংগীত।
সারাদেশ থেকে সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর ও ১৫ হাজার ডেলিগেটসহ প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী। বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধনের পরপরই হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর হবে শোক প্রস্তাব পাঠ। একমিনিট নীরবতা পালনের পর অভ্যর্থনা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক বক্তব্য দেবেন। সাধারণ সম্পাদক পেশ করবেন দলের প্রতিবেদন। এরপর সভাপতির বক্তব্য এবং সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের কর্মসূচি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর শুরু হবে রূদ্ধ দ্বার কাউন্সিল। এই কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন