বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

কাশ্মীরিদের পরিচয় মুছে ফেলার স্বপ্ন পূরণ হবে না : ইমরান

বেড়া ভেঙে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ও হিন্দুত্ববাদী আদর্শভিত্তিক এজেন্ডা দিয়ে শুধু কাশ্মীরিদের নয় ভারতে বসবাসকারী কোটি কোটি মুসলমানের পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোমবার ইসলামাবাদে কাশ্মীরি এক্টিভিস্ট তনি আসাই-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র পিতৃ সংগঠন হলো হিন্দুত্ববাদী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরএসএস। ভারত সাত দশকের পুরনো আইন সংশোধন করে কাশ্মীরের রাজ্য মর্যাদা কেড়ে নেয়। গত ৫ আগস্ট এ বিষয়ে সংবিধনের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর থেকে অঞ্চলটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ইমরান খান বলেন, মোদির স্বপ্ন প‚রণ হবে না। তিনি আরো বলেন যে তার সরকার ও পাকিস্তানের জনগণ রাজনৈতিক, নৈতিক, ক‚টনৈতি- সব ফ্রন্টে কাশ্মীরি জনগণকে সমর্থন দিয়ে যাবে। এদিকে আসাহি বলেন, মোদির সরকারের এজেন্ডা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে ভালোভাবে বুঝতে হবে। অপর দিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, ভারতের সামরিক বাহিনী সীমান্তরেখার বেড়া ভেঙে ফেলেছে এবং অন্তত পাঁচ জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে। স¤প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কোরেশি বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সামরিক অভিযানের মতো ভুল পদক্ষেপ নিতে পারে এবং বিষয়টি আগেই জাতিসংঘকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে বিশ্বের নজর ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দিতে নরেন্দ্র মোদি সরকার এই অপকৌশলের পথ বেছে নিতে পারে। শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে এবং নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের নামে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আইন পাস করে গভীর সংকটে পড়েছে মোদি সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব ভারতের ঘটনাবলী দেখছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের গুরুত্বপ‚র্ণ রাজধানীগুলোতে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার আদর্শগতভাবে যে হিন্দুত্ববাদের সরকার সারা বিশ্বের কাছে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। শাহ মেহমুদ কুরেশি আরো বলেন, ভারত কার্যত এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়েছে। একভাগে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সমর্থক; অন্যদিকে রয়েছে চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদের আদর্শ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই হিন্দুত্ববাদী আইন প্রবর্তনের বিরোধিতা করে তাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী চিদাম্বরম। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, পার্সটুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
বাবুল ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 1
সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে সোচ্চার হতে হবে।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১:৫৯ এএম says : 1
ওআইসির নিরবতার কারণেই ভারত এত সাহস করতে পেরেছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন