প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৭৫ পেয়েছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের হৃদয়। ছেলের এমন ফলাফলে হাসতে পারলেন না তার বাবা-মা। গত ২২ ডিসেম্বর বাড়ির সামনে খেলার সময় পাতা ছিঁড়তে গিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যায় হৃদয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফলাফল প্রকাশের পর ছেলের পরীক্ষার ফল দেখে মা-বাবা, শিক্ষক ও সহপাঠীরা হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন। এ সময় একে-অপরকে জড়িয়ে ধরেও সান্ত¡না দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে উপজেলার চরমার্টিন গ্রামের হৃদয়ের বাড়ির আশপাশের মানুষও দুঃখপ্রকাশ করেছে। মোশারেফ হোসেন হৃদয় (১১) চরমার্টিন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে একই গ্রামের পূর্ব মার্টিন শিশু নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় দিয়েছিল। প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৪.৭৫ পেয়ে কৃতকার্য হয় সে। কিন্তু দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় হৃদয় তার ফলাফলের বিষয়ে জানতে পারেনি। এ নিয়ে কান্না থামছে না তার মা-বাবার।
হৃদয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সামান্য দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সে প্রথম ছিল। তার সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলটিও দেখে যেতে পারেনি। পূর্ব মার্টিন শিশু নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের ৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে হৃদয়ের সবচেয়ে ভালো ফলাফল এসেছে। সে খুব মেধাবী ও শান্ত ছিল। তার মৃত্যু আমাদের জন্য খুব কষ্টের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন