শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পর্যটক কমেছে কক্সবাজারে

থার্টিফার্স্ট নাইটে ছিল কড়াকড়ি

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ইংরেজি নববর্ষ বরণ ও পুরাতন বর্ষ বিদায়ে প্রতি বছর পর্যটন শহর কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হলেও এবারে থার্টিফার্স্ট নাইটে আশানুরূপ পর্যটক নেই। প্রতি বছর কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যারা হিমশিম খেত। এবারে সেরকম কিছু দেখা যায়নি।

কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিকসহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাশ বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে প্রায় সোয়া লাখ পর্যটকের রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। দুই ঈদ ছাড়াও ইংরেজি নববর্ষের শেষ দিন অর্থাৎ থার্টিফার্স্ট নাইটে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের ভিড় হয় এখানে। এ সময় হোটেলে কক্ষ বরাদ্দ পাওয়া কঠিন বিষয় হয়ে দাড়ায়। কিন্তু এবার দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।

উচ্ছৃঙ্খলতা ও জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু আশানুরূপ পর্যটক না থাকায় হোটেলগুলোতে ইনডোর আয়োজনও এবার কম। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে সৈকতের উন্মুক্তস্থানে বিনোদনমূলক কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। এছাড়া, আতশবাজি, পটকা ফুটানো, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রশাসনের। এ কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়াও এবারের থার্টিফার্স্ট নাইট পড়েছে সপ্তাহের মাঝখানে। এর আগে পরে রয়েছে খোলার দিন। আজ ১লা জানুয়ারি সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলছে এবং স্কুলগুলোতে রয়েছে বই বিতরণ অনুষ্ঠান। এতে করে পর্যটকরা কক্সবাজার আসেননি।

পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট নাইট ও নববর্ষ উদযাপনে কম হলেও লক্ষাধিক পর্যটক ভ্রমণে আসতেন দেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজারে। কিন্তু এ বছরের চিত্র ভিন্ন। এ কারণে তারা কিছুটা হতাশ।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতা আলহাজ আবুল কাশেম সিকদার এ প্রসঙ্গে বলেন, একদিকে প্রশাসনের কড়াকড়ি তো আছেই অপরদিকে আগামীকাল পহেলা জানুয়ারি সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে এ কারণে আশানুরূপ পর্যটক আসেন নি।

এ প্রসঙ্গে পাঁচতারকা হোটেল সীগাল এর সিইও ইমরুল হাসান রুমি বলেন, তারকা হোটেলগুলোতে এর তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। তবে সাধারণ হোটেল গুলোতে এর চাপ হয়তো দেখা গেছে। কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে এবার কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই, তবে অনেক হোটেল-মোটেলে ইনডোর আয়োজন করছে। সবমিলে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।

তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকত ছাড়াও আশপাশের যেসব পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেখানেও টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন