বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইংরেজি নববর্ষ সংখ্যা

ফিরে দেখা ২০১৮

আ বু ল কা সে ম হা য় দা র | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দেশের অর্থনীতি বেশ বড় রকমের পরিবর্তন ২০১৮ সালে দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে ঝাকুনি সৃষ্টি করেছে এবার বিশ্বের পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ ঝুঁকিতে এসে পড়ে। এই ঝুঁকি মোকাবেলা করে বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে চলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গেও আমাদের প্রিয় দেশ বাংলাদেশ বেশ সংযুক্ত। অন্যদিকে দেশীয় শাসনের সুফল ঠিকমত না থাকার কারণে অর্থনীতি বেশ বিরাজ ছিল। অন্যদিকে সরকারী বড় বড় প্রকল্প দেশের মোট প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশের ঘরে ঘুরাফেরা করছে। ২০১৭-১৮ সালে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭.৮৬ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি।
ব্রিটিশ মাল্টিন্যাশনাল হসপিটালিটি কোম্পানী ইন্ডিয়া, মিডেল ইস্ট, আফ্রিকার কন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রæপ ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বলেন, আমরা ৩৫ বছর পর আবারও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য ফিরে এসেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। উঁচু হারে অগ্রগতি সম্পন্ন একটি শহরে আমাদের বিনিয়োগ করা জরুরি। তাই আমরা আবার ফিরে এসে এই দেশে বিনিয়োগ করেছি। এই দেশে বিনিয়োগ বেশ লাভজনক, সুবিধাজনক, ঝুঁকিমুক্ত, সহজ।
দৃশ্যমান মেগা প্রকল্প: ২০১৮ সালে আলোচনায় ছিল সরকার কর্তৃক গৃহিত ও চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে, প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই সকল মেগা প্রকল্প মূল ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে জ্বালানি খাতের প্রকল্পসমূহ ২০১৮ সালে অর্থনীতিতে দারুণ প্রভাব বিস্তার করেছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ছাড়াও মেট্রো রেল দৃশ্যমান প্রকল্প হিসেবে ঢাকা শহরের মানুষের দৃষ্টিতে দৃশ্যমান, আলোচিত। আগামীতে ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরে মেট্রোরেলের পরিকল্পনা ও বেশ আলোচিত বিষয়। পদ্মা সেতু প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে থেকে একটানা ১০ বছর দেশ শাসন করছে। তাই দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পগুলো অগ্রসর হওয়া স্বাভাবিক তবে প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশের অর্থনীতিতে বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক থেকে প্রচুর ঋণ নেয়া সরকার বেশ সমস্যায় রয়েছে।
রূপপুর পরমাণু কেন্দ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলেছে।
১০০ বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল যদিও একশত বিশেষ শিল্প অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ সরকারের বেশ কয়েক বছর পূর্বের। তবে ২০১৮ সালে বিষয়টি বেশ আলোচনায় গুরুত্ব লাভ করে। সরকার দেশের বিভিন্ন জেলায় একশত বিশেষ শিল্প এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তা হচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী উভয় উদ্যোগে। তবে বেসরকারী উদ্যোগে বেশি হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০টি শিল্প অঞ্চল স্থাপনের কাজ বেশ এগিয়ে চলছে। অবশিষ্টগুলোর কাজও পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছে।
আমাদের দেশে শিল্পায়ন হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। কোথায় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান করা যাবে তার কোন দিকনির্দেশনা সরকারের নেই। উদ্যোক্তাগণ নিজের সুবিধা অনুযায়ী শিল্প স্থাপন করে যাচ্ছেন। একসময় ঢাকা শহর হাজার হাজার তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা গড়ে উঠে। পরবর্তী দেশী-বিদেশী চাপে ও কম্পাইন্স ইস্যুর কারণে তৈরি পোশাক শিল্পকারকগণ শহর ছেড়ে শহরতলী ও অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। তাও কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া। পুরো দেশকে পরিকল্পনার আওতায় এনে শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনায় করলে সবচেয়ে ভাল হতো। তা হচ্ছে না। তবুও বিভিন্ন জেলায় সব শিল্প অঞ্চল স্থানের উদ্যোগও বেশ ভাল। তাতে শিল্প অন্ত এলাকা বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থানে গড়ে উঠবে। এই উদ্যোগকে সফল করা প্রয়োজন রয়েছে।
বিদ্যুৎ খাত: দেশে বিদ্যুৎ খাতের উত্তরণের বিপব অনেকটা হয়ে গেল। ২০১৮ সাল বিদ্যুৎ নিয়ে আলোচনা ও পরিকল্পনা বেশ হয়েছে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ১২৭টি। সরকারী খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে ৬৪টি। উৎপাদন ক্ষমতা ৯৩৩৬ মেগাওয়াট বেসরকারী খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হযেছে ৬৩টি। ক্ষমতা ৭ হাজার ১ শত ৮৯ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৫ শত ৭৩ মেগাওয়াট।
দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ৬১.৩৪ শতাংশ। তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ৩৩.৯৬ শতাংশ। কয়লা, পানি ও সৌরশক্তি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ৪.৭ শতাংশ। বিদ্যুৎ মোট উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদিত হচ্ছে তেলভিত্তিক। যা ৭৬.১৬ শতাংশ। এর পুরোটাই আসছে বেসরকারী খাত থেকে।
কিন্তু আমরা কম দামে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বিগত এক দশকে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৩৯ শতাংশ। সাশ্রয়ী মূল্য জ্বালানি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে চড়া দামে জ্বালানি তেল নির্ভর উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ।
জ্বালানি ভেদে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের মূল্য হচ্ছে পানি ১.৩২ টাকা, গ্যাস ২.৮০ টাকা, কয়লা ৭.৩৮ টাকা, ফার্নেস ১১.৪৮ টাকা, ডিজেল ১৯.৩০ টাকা, সৌরশক্তি ১৬.১৪ টাকা, ভারত থেকে আমদানি ৫.৯৪ টাকা। ২০০৯ সালে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২ টাকা ৬১ পয়সা। ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় হচ্ছে ৬ টাকা ২৫ পয়সা।
গ্রাম হবে শহর : ২০১৮ সালের ডিসেম্বর এসে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে গ্রাম হবে শহর। বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে বড় আলোচনায় এসেছে নির্বাচিত হলে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে। অর্থাৎ শহরের মানুষ যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, গ্রামে বাস করেও গ্রামের মানুষ অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা পাবে। বেশ ভাল বিষয়। আমরা তখন হয়ে পড়বো উন্নত দেশের যোগ্যতায়। অন্যদিকে বিরোধী বড় জেক্ট ঘোষণা করেছে তারাও গ্রামে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে মানুষের জীবনমান উন্নত করবে। বিষয় দুইটি একই। তবে গ্রামের অবস্থার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই গ্রামে বসবাস করে। শহরে বাস করে মাত্র কয়েক কোটি মানুষ। যুবসমাজের প্রায় ৭৫ শতাংশ এখনও গ্রামে বসবাস করে। তরুণ সমাজের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করতে হলে গ্রামকে শহর করতেই হবে।
আইটি খাতে অগ্রগতি : বিগত এক বছর নয় বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের আইটি খাতে বেশ উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্যবহার, শহর ও গ্রামে সর্বত্র ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিখাতে কোন অঘটন ঘটেছে। কয়েকটি ঘটনা ২০১৮ সালের বেশ চমকপ্রদ। বছরের শেষ সময়টা হিসাবনিকাশের। এই যেমন চমৎকার সব উদ্ভাবনে বছরজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করেছে তথ্য-প্রযুক্তি। আবার কলঙ্কজনক অনেক ঘটনার জন্মও দিয়েছে। ফেসবুক, গুগল এবং উবারের মত বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কম সমালোচনার শিকার হয়নি। ২০১৮ সালের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৮টি কেলেঙ্কারির ঘটনা থাকছে এখানে।
১. ফেব্রুয়ারি চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তির বাণিজ্য কৌশল চুরির অভিযোগে একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে উবার এবং ওয়েমো।
২. যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে কৃত্রিম, বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে গুগলের গোপন চুক্তির বিষয়টি ফাঁস হয় মার্চে।
৩. সে মাসেই উবারের চালকবিহীন গাড়ির আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনাতে এক নারীর মৃত্যু হয়।
৪. কেমব্রিজ অ্যানলিটিকা ঘটনায় ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হয়েছে বলে জানায় ফেসবুক।
৫. ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘুগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে।
৬. এপ্রিলে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গকে মার্কিন কংগ্রেসে ডেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
৭. জুলাইয়ে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে ফোন প্রতিষ্ঠানগুলোকে তা ব্যবহার করতে বাধ্য করার দায়ে গুগলকে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
৮. গুগল চীনে পুনরায় তাদের তথ্য খোঁজার সেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় আগস্টে।
৯. মুসলমান হিজড়া এবং প্রতিবন্ধীদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বার্তা ছড়ানোর অভিযোগে অ্যালেক্স জোন্সকে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়।
১০. গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের সিইও ল্যারি পেজ মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির শুনানিতে যোগ দিতে অস্বীকার করেন।
১১. টেসলাকে প্রাইভেট কোম্পানিতে রূপান্তরের ভুয়া খবর টুইটারে ছড়ানোর অভিযোগে মার্কিন সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে দুই কোটি ডলার জরিমানা দেন সিইও ইলন মাস্ক।
১২. সেপ্টেম্বরে আবার হ্যাকিংয়ের শিকার হয় ফেসবুক এবং এতে প্রায় তিন কোটি ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য চুরি হয়।
১৩. গুগল পাস নেটওয়ার্কে থাকা পাঁচ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হযেছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় অক্টোবরে।
১৪. ২০১৪ সালে যৌন হেনস্তার দায়ে চাকরিচ্যুত হওয়ার পরও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবনকারী অ্যান্ডি রুবিনকে গুগল ৯ কোটি ডলার দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
১৫. ব্রাজিলে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে স্প্যাম বার্তা এবং মিথ্যা প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে।
১৬. সারা বিশ্বের হাজার হাজার গুল কর্মী যেওন হয়রানির প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।
১৭. ফেবসুবকবিরোধী আন্দোলনে জড়িত জর্জ সোরোসকে দোষারোপ করার জন্য ফেসবুক একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে মর্মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
১৮. দ্বিতীয় প্রধান কার্যালয় বানানো নিয়ে অনেক উচ্চবাচ্চ্য করে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও ভার্জিনিয়ায় দুটি কার্যালয় তৈরির ঘোষণা দেয় আমাজন।
ব্যাংকিং খাত: ২০১৮ সালে ব্যাংকি ও আর্থিক খাতের জন্য তেমন সুখবর নেই। প্রায় সকল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান নানা ঝুঁকি মোকাবেলা করে অগ্রসর হতে হয়েছে। বিশেষ করে সরকারী ব্যাংকসমূহ বেশ সমস্যার মধ্যে বছরটি কাটিয়েছে। সরকারের বার্ষিক বাজেট থেকে মূলধন জোগান বেশ কয়েকটি সরকারী ব্যাংককে করতে হয়েছে। এই বছর প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা সরকারী ব্যাংকসমূহে নতুন করে মূলধন বাবদ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। অন্যদিকে ফার্মার ব্যাংক কে রক্ষা করার জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এখন ফার্মার ব্যাংক তার নাম পরিবর্তন করে সুনাম রক্ষা করে নতুন করে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সাল ব্যাংকিং খাতের জন্য দুর্যোগের বছর। প্রায় সকল ব্যাংক তার টার্গেট অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে বেসরকারী ব্যাংকসমূহের কলিকগণ ব্যাংকের সুদের হার ৯ শতাংশে আনার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। নানা কারণ দেখিয়ে বেসরকারী প্রায় সকল ব্যাংক সুদের হার ১১ থেকে ১২ শতাংশে আদায় করছে। শুধু সরকারী ব্যাংকসমূহ কিছু কিছু খাতে ৯ শতাংশ হারে সুদ আদায় করছে।
অন্যদিকে বেসরকারী খাতে তেমন বিনিয়োগ না হওয়ার কারণে ব্যাংকসমূহ ৩ বছর আশানুরূপ লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শেয়ার মূল্য ১০টার চেয়ে কমে ট্রেডিং হচ্ছে।
ব্যাংকসমূহ ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মন্দ বিনিয়োগ হওয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংক সমস্যায় রয়েছে। এই ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করার পরিবর্তে সরকার ঋণগ্রহিতাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে মামরা করে জেলে প্রেরণ করেছেন। অন্যদিকে ঐ সকল বিনিয়োগকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠান ধবংস হয়ে গিয়েছে। মেশিনপত্র নষ্ট হয়ে পড়েছে। ঋণ তো আদায় হয়নি বরং ঋণের সুদ আসল বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র। এই উদ্যোগটি ঠিক হয় নেই। ব্যবসায়ীকে জেলে দিয়ে ঋণের টাকা পাওয়া যায় না। বরং ব্যবসায়ীকে সহযোগিতা করে, প্রয়োজনে আরও কিছু বিনিয়োগ করে সুদ ও আসল আদায় করা উচিত ছিল। এখনও সময় আছে ব্যাংকসমূহকে ভিন্ন রীতি অনুসরণ করে ব্যাংকের ঋণ আদায় ব্যবস্থা করতে হবে। মামলা, জেলে দিয়ে ঋণ আদায় করা সম্ভব নয়।
২০১৮ সালে নতুন করে আরও ৩টি ব্যাংক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারকগণ নতুন করে ৩টি ব্যাংক দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকে বিগত বোর্ড সভায় ব্যাংক ৩টির অনুমোদন দেয়া হয় নাই। হয়তো জাতীয় নির্বাচনের পর অনুমোদন দেয়া হবে।
দেশের ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। অতিরিক্ত ব্যাংক রাজনৈতিক কারণে দেয়া হয়েছে বলে সরকারের অর্থমন্ত্রী বার বার বলেছেন। অর্থনৈতিক চিন্তা করলে দেশে এত বেসরকারী বা সরকারী ব্যাংকের প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে ব্যাংকসমূহের নিয়ন্ত্রণ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে। সরকারী ব্যাংকের রাজনৈতিকভাবে বিবেচনায় পরিচালক নিয়োগ বন্ধ করে, যোগ্য, দক্ষ, সৎব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকিং খাতকে সংস্কার করতে হবে। রাজনীতি ও অর্থনীতিকে এক করা টিক হবে না। অর্থনীতিকে তার নিজস্ব গতি চলার সুযোগ দিতে হবে। নতুবা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখা কষ্ট হবে।
শেয়ার বাজার : ঢাকার শেয়ার বাজারের সূচক ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩ শত কোটি টাকা। একসময় ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক দাঁড়িয়ে ছিল ৮ হাজার কোটির বেশি। তা বর্তমানে কমিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ৫ হাজার ৩ থেকে ৪ শত কোটি টাকার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ২০১০ সালে শেয়ার বাজারের পতনের পর সূচক আর তেমনভাবে উঠতে পারেনি। সাধারণ ছোট ব্যবসায়ীগণ শেয়ার বাজার থেকে হাত ঘুটিয়ে নিয়েছেন। ব্যাংক, আর্থিক খাতসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানও তেমন ভাল অর্থের বিনিয়োগে শেয়ার বাজারে আসতে পারেনি। ২০১৮ সালের শেয়ার বাজারে তেমন কোন চমক নেই বললে চলে। অনেকটা শেয়ার বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ হতাশার মধ্যে রয়ে গিয়েছেন।
সুশাসন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : ২০১৮ সাল ছিল সুশাসন ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আলোচনার বিষয় বস্তু। বছরের শুরু থেকে সরকার ও প্রধান প্রধানবিরোধী দলসমূহ দেশে সুশাসনের প্রতি বেশ জোর দিয়েছেন। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচন সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রতি জোর দেযা হয়েছে। পত্র-পত্রিকায়, টিভি টক-শোগুলোতে এই দুইটি বিষয় সব সময় আলোচনার বিষয় ছিল।
২০১৮ সাল ছিল বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিদায় বিচার বিভাগে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি সুন্দর হয়নি। দেশের বিচার ভিভাগের মানউন্নয়নে ঘটনাটি তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি। দেশের মানুষ সুশাসন পাচ্ছে কি! সকলের জন্য কি বিচার সমানভাবে প্রয়োগ করা যাচ্ছে। এই সকল প্রশ্ন পুরো বছরজুড়ে ছিল আলোচনার বিষয়।
ডিসেম্বর ৩০ জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সকল দল অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু বিরোধী দলের দাবি সরকার একটিও মানেনি। তবুও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে গিয়েছে। এটি ভাল উদ্যোগ। এখন দেখার বিষয় নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয় কিনা। সকলে সুন্দরভাবে, স্বস্তিতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে কিনা। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় কিনা। আমরা আশা করব সরকার একটি গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। প্রত্যেক ভোটার নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেই পরিবেশ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সৃষ্টি করতে হবে।
চলতি ২০১৮ সালে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশে বাংলাদেশের জন্য তেমন কোনো সুখবর নেই। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভবিষ্যৎ মেধাসম্পদ গড়ে তোলাসহ মানব উন্নয়নে কিছুটা অগ্রগতি আছে। এর মানে, আমরা মানব উন্নয়নে ভালো করলেও অর্থনীতির গতি ধরে রাখার সূচকগুলোতে অন্য দেশের তুলনায় ভালো করতে পারছি না। এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করা আগের চেয়ে কঠিন হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় প্রতিদ্ব›দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনগুলো ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে না, যা অর্থনীতির গতি ধরে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক দশক ধরেই বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। তাই অবকাঠামো, জ্বালানি খাতসহ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা দরকার। তিনি আরও বলেন, মানব উন্নয়নে তুলনামূলক ভালো করলেও এখন মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতার দিকে নজর দেয়া উচিত। বাজারভিত্তিক মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
ব্যবসা সহজ করা : বাংলাদেশে ব্যবসা করা আগের মতোই কঠিন রয়েছে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে ২০১৯ বা সহজে ব্যবসা করার সূচক অনুযায়ী, এ বছর ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬তম। এক বছরের ব্যবধানে মাত্র একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে অন্য দেশগুলো বেশি এগিয়েছে।
সহজে ব্যবসা করার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে আছে, অবস্থান অষ্টম। এ অঞ্চলে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে ভালো পরিবেশ রয়েছে ভারতে। এ দেশটি এবার বৈশ্বিক অবস্থানে ৭৭তম স্থানে আছে। ভুটান ৮১তম, শ্রীলঙ্কা ১০০তম, নেপাল ১১০তম, পাকিস্তান ১৩৬তম, মালদ্বীপ ১৩৯তম ও আফগানিস্তান ১৬৭তম স্থানে আছে।
প্রতিযোগিতা সক্ষমতা : ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বাংলাদেশ আগের চেয়ে একধাপ পিছিয়ে গেছে। গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক বা গোবাল কম্পিটিটিভ ইনডেক্সে (জিসিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে ১০৩তম। আগেরবার বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০২তম।
ডব্লিউই বলছে, বাংলাদেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ১৬টি সমস্যা আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। অন্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অবকাঠামো দুর্বলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দক্ষ শ্রমিকের অভাব, ঋণপ্রাপ্তির অপর্যাপ্ত সুযোগ ও উচ্চ করহার।
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার যে পাঁচটি দেশ স্থান পেয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সমস্যা ভারতে। ভারত এবারের প্রতিবেদনে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৫৮তম স্থানে আছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা চার ধাপ পিছিয়ে ৮৫তম অবস্থানে আছে। এ ছাড়া একধাপ করে পিছিয়ে পাকিস্তান ও নেপাল আছে যথাক্রমে ১০৭ ও ১০৯-এ। বাংলাদেশের প্রতিদ্ব›দ্বী ভিয়েতনাম ৭৭তম ও কম্বোডিয়া ১১০তম স্থানে আছে। আর ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে কম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি এবার শীর্ষ স্থানে আছে।
মানব উন্নয়ন: মানব উন্নয়নে এক বছরে দুইধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬তম। গতবার ছিল ১৩৮তম।
এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ওই দুটি দেশের চেয়ে বেশি। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, স্কুলে পাঠগ্রহণ এসব খাতে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে গেছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে মাথাপিছু গড় আয় বাংলাদেশে অনেক কম।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে, এবার ভারতের অবস্থান ১৩০তম, আর পাকিস্তানের ১৫০তম। গতবারের চেয়ে বাংলাদেশ দুইধাপ এগিয়ে গেলেও ভারত ও পাকিস্তান একধাপ পিছিয়েছে। মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ১৮৯টি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গড় আয়সহ বিভিন্ন সূচকে ২০১৭ সালের পরিস্থিতি উঠে এসেছে। সার্বিকভাবে গতবারের মতো এবারও নরওয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে।
মেধাসম্পদ : গত অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) যৌথবার্ষিক সভায় এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বিদ্যমান মান বিবেচনা করলে বাংলাদেশের শিশুরা ভারত ও পাকিস্তানের শিশুদের চেয়ে বেশি উৎপাদনশীল হবে। ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৬তম। ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে ১১৫ ও ১৩৪তম। বিশ্বব্যাংক বলেছে, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে। আরও ভালো করার সুযোগ আছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের একজন শিশু বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গড়ে ৪৮ শতাংশ উৎপাদনশীলতা দেখাতে পারবে। আদর্শ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুবিধা পেলে তাঁরা শতভাগ কর্মদক্ষতা দেখাতে পারত, সেখানে তারা অর্ধেকের কম দেখাতে পারবে। ভারত ও পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে আরও পিছিয়ে আছে। ভারতের শিশুরা ৪৪ শতাংশ ও পাকিস্তানের শিশুরা ৩৯ শতাংশ কর্মদক্ষতা দেখাতে পারবে।
বিশ্বব্যাংকের সূচকে শীর্ষ তিনটি স্থানেই এশিয়ার তিনটি দেশ। প্রথম স্থানে থাকা সিঙ্গাপুরের শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুবিধা এমন যে তারা ভবিষ্যতে ৮৮ শতাংশ উৎপাদনশীলতা দেখাতে পারবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে কোরিয়া ও জাপান।
লেখক : সাবেক সহ-সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন