অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আজকাল ডাবের মধ্যেও বিক্রেতারা ডাব কাটার দা-এর মাথায় এক ধরনের বিষ মিশিয়ে রাখে। কায়দা করে লুণ্ঠনকারী সংঘবদ্ধ দল ক্রেতা বুঝে সর্বনাশ করে। ওই ডাব খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে পরক্ষণে তারা টাকা-পয়সা ও মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয়। পথে-ঘাটে বা বাস দাঁড়ানো অবস্থায় ডাব খাওয়া বিপদজ্জনক। এদিকে ভেজালবিরোধী অভিযান না থাকায় মৌসুমি ফলে বিষের কারণে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আম, লিটু, কাঁঠাল, আনারস, জাম, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি সুস্বাদু ফল বাজারে আসছে। বর্তমানে ফলমূল ও খাবারে বিষ ও ভেজাল মিশ্রণ চরম আকার ধারণ করেছে। কার্বাইড মিশ্রিত ফল খেয়ে মানুষ শ্বাসকষ্ট, গ্যাস্টিক, লিভার ক্যান্সার, জ-িস ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আশা করি, জরুরি ভিত্তিতে সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭ ফরিদাবাদ-গে-ারিয়া,
ঢাকা-১২০৪
উপকূল সংস্কার জরুরি
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। উপকূলে আঘাত হেনেছিল মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেখানে নির্মিত হয়নি স্থায়ী বেড়িবাঁধ। তবে গত বছরের ১৯ মে বাঁশখালী উপকূলীয় ছয়টি ইউনিয়নে ১৪ কিলোমিটার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য একনেকের সভায় ২১০ কোটি টাকা পরবর্তী সময়ে বাড়িয়ে ২৫৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিকে উপর্যুপরি দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের লোনাপানি ঢুকে বাঁশখালী বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে প্রেমাশিয়া ও অন্যান্য গ্রামের মৎস্য চাষের, আউশের ক্ষতি করেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। উত্তর প্রেমাশিয়ার প্রাক্তন জেলা ও দায়রা জজ ফজলুল করিম সাহেবের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাটি ওবায়দার বেড়িবাঁধের বাইরে রাখায় সেখানকার মানুষ অত্যন্ত ভয়াবহভাবে বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত জোয়ারের পানিতে ভেসেছে। চাষাবাদ তো বিগত তিন যুগের অধিক কাল ধরে হচ্ছে না। উত্তর প্রেমাশিয়া, দক্ষিণ প্রেমাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটোসহ একাধিক মাদ্রাসা, তিনটি সাইক্লোন সেন্টারসহ, মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, কবরস্থান, সরকারি-বেসরকারি অনেক অবকাঠামো নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তাই ওই বরাদ্দকৃত অর্থে ইতোমধ্যে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে ওয়াপদার আওতাভুক্ত করে ওয়াপদা বাঁধ নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অতীতে লক্ষ করা গেছে, ঘোর বর্ষাকালে উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি ঠেকাতে রিং বাঁধ নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার ইত্যাদি নানা নামে প্রতিবছরই নেয়া হয় বিভিন্ন প্রকল্প। কিন্তু এসব প্রকল্পে ঘটে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ নয়-ছয় এর ঘটনা। বন্দর শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবে পরিচিত বন্দর নগরীর পতেঙ্গা বেড়িবাঁধটি এখনো স্থায়ী ও টেকসইভাবে নির্মিত হয়নি। জানা গেছে, বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাতাকলমে একাধিক প্রকল্প রেকর্ড হয়েছে আর সরকারি অর্থের খরচ দেখানো হয়েছে প্রচুর। কিন্তু অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকার লোকজন এখনো ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ।
এস এম ফরিদুল আলম
মমতাজ ভিলা, ১৩/২ চন্দনপুরা,
কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম
বাজেটে চাই প্রতিবন্ধী সহায়তা তহবিল
প্রযুক্তি যখন পেশাগত উপকরণ হয়ে দাঁড়ায় তখন এর সঠিক ব্যবহার তথা মানব উন্নয়নে ব্যবহারের কথা ভাবা উচিত যেমন মোবাইল ফোন এক অপরিহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। মনে করুন, একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির হাতে রয়েছে একটি স্মার্ট ফোন। যন্ত্রটা ছোট, তাতে ব্যবহারের জটিলতাও আছে ঠিকই, আবার জটিল সমস্যার সমাধানও দিচ্ছে তাকে। অল্প সময়ে সাশ্রয়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে নিরাপদভাবে সে ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছে। এবার আকেরটি বিষয়ে যাই, হুইল চেয়ার শব্দটির সঙ্গে প্রায় সবারই কম বেশি পরিচয় রয়েছে। ‘ইলেক্টনিক হুইল চেয়ার’Ñ অনেকের কাছে নামটি অপরিচিত মনে হতে পারে। কিন্তু এই টেকনোলজিটি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দ্রুত ও সহজ চলাচলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এভাবে প্রযুক্তি বাহনে ভর করে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের স্বপ্ন বাড়ছে, বৃত্ত বাড়ছে, জীবন ব্যপ্ত হচ্ছে জীবনের তরে।
জীবন বাঁচাতে প্রযুক্তি, জীবন সাজাতে প্রযুক্তি, জীবনের প্রয়োজনে প্রযুক্তিকে কিভাবে গ্রহণ করছে উন্নত দেশগুলো? সেসব দেশে যথাযথ প্রযুক্তি কিভাবে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে তথা একটি জাতিকে দ্রুততার সঙ্গে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিচ্ছে আমরা তা অনুসরণ করতে পারি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন সহায়ক প্রযুক্তি যেমন কম্পিউটার স্মার্ট ফোন, স্মার্ট কেইন, ইলেক্ট্রনিক হুইল চেয়ার, হিয়ারিংএইড, লোভিশনএইড, ডেইজি প্লেয়ার ইত্যাদি সরকার বিনামূল্যে (প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে) বিতরণ করার জন্য প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়ক প্রযুক্তি সহায়তা তহবিল চালু করতে পারে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাদিয়া তাজিন
চট্টগ্রাম
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন