বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে চলুন

প্রধানমন্ত্রীকে সুলতানা কামাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশিত পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বঙ্গবন্ধু হননি, অবিসংবাদিত নেতা হননি, সেই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘সিনসিয়ারিটি অব পারপাস’ এবং ‘অনেস্টি অব পারপাস’ না থাকলে কেউ কোনোদিন কিছু অর্জন করতে পারে না। গতকাল ধানমন্ডিতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে বাপা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি পরামর্শ দেন।
‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যকারিতা:চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ম‚ল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাপার নির্বাহী সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আলী নকী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ বিষয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশা করবো, তার কথাগুলো যেন শুধু মুখের কথা না হয়। প্রধানমন্ত্রী তার কাজে তার বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত সেই সিনসিয়রিটি অব পারপাস, অনেস্টি অব পারপাসের পরিচয় রাখবে। বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় আন্তরিকভাবে সহযোগিতার ভ‚মিকা রাখছে। আমরা পরিবেশ রক্ষায় সরকারের ১০০ ভাগ সমর্থন দাবি করি।

সুলতানা কামাল আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যখন ক্ষমতায় যান, তখন তারা পরিবেশের কথা বেমালুম ভুলে যান। শুধু ভুলে যাওয়াই নয়, কখনো কখনো তারা পরিবেশ রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে বৈরী অবস্থানও নেয়। শুধু ক্ষমতায় গেলেই যে সব কিছু করা যায়, এটা সত্য নয়। যারা রাজনীতি করেন, তারা তো মানুষের স্বার্থে, কল্যাণে রাজনীতি করেন। ক্ষমতায় থাকেন আর না থাকেন, যেকোনো অবস্থান থেকেই মানুষের জন্য কাজ করা যায়।
সুলতানা কামাল বলেন, পরিবেশ আন্দোলনে ঝুঁকি নিয়ে হলেও আমাদের কাজ করতে হবে। এই ধরিত্রী বাঁচানোর নৈতিক দায়িত্ব আমাদের সবার। দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। এই মালিকানা সাংবিধানিকভাবেই পরিবেশ রক্ষায় জনগণকে সে ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে। পরিবেশ আন্দোলনে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা পরিবেশ বিষয়ে কথা বলতে পারি, প্রশ্ন তুলতে পারি। রাস্তায় নামতে পারি, সেই সাথে প্রাণও বিসর্জন দিতে পারি। পরিবেশের আন্দোলনে প্রাণ বিসর্জন দেয়া বিরল নয়, অনেকেই দিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবেশ আন্দোলনকারীদের নিয়ে অনেকে উপহাস করেন। পরিবেশবাদীদের আন্দোলন নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু একটা কথা আজকে সারা বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে যে, পরিবেশবাদীরা আছেন বলেই পৃথিবী টিকে আছে। পরিবেশবাদীরা না থাকলে, আন্দোলন না করলে, আজকে পৃথিবীর থেকে অনেক প্রাণী চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন