আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য মাটি বহনকারী গাড়ির কারণে এলজিইডি’র সড়ক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
উপজেলার কুল্যা-গুনাকরকাটি ব্রিজ মোড় থেকে কুল্যা রাজবংসীপাড়া পর্যন্ত এলজিইডি’র ইটের সোলিং রাস্তা রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে ইটভাটার মাটি নেয়ার কারণে সড়কটি এখন ধ্বংসের পথে। দেখার কেউ নেই। কেুলতিয়া গ্রামে ‘এইচ বি এফ’ ইটভাটা করা হয়েছে অনেক আগে থেকেই। কর্তৃপক্ষ ভাটার মাটির প্রয়োজন মেটাতে বেতনা নদীর চর থেকে মাটি কেটে অবৈধ যানবাহন ট্রাক্টরের মাধ্যমে ওয়াপদা রাস্তার উপর দিয়ে অতিরিক্ত মাটি লোড দিয়ে ভাটায় আনেন। ওয়াপদার বাঁধের উপর দিয়ে এলজিইডি’র ইটের সোলিং রাস্তা রয়েছে। মাটি বহনকারী ট্রাক্টর রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। বর্তমানে সড়ক দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল চরম বিপদজনক হয়ে পড়েছে। কুল্যা রাজবংসী পাড়া, কুল্যা পশ্চিম পাড়ার শত শত মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ অবস্থার কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে সড়কটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে এইচ বি এফ ইটভাটার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভাটা পাশর্^বর্তী বসবাসরত ব্যক্তিবর্গ জানান, ঘনবসতী এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে এবং ঝিঁকঝাঁক হাওয়ায় ভাটা না থাকার কারণে কয়লার পরিবর্তে কাঁচা কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে। ফলে ইটভাটার ধুলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ইটভাটা কর্তৃপক্ষ কৃষকদের মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ধান চাষে বাঁধাগ্রস্থ করছে ফলে ক্রমশ কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। তারাসহ এলাকার সচেতনমহল এলজিইডি সড়ক ধ্বংস, পরিবেশ বিনষ্ট এবং ফসলী জমি নষ্টকারী ভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন