রাজবাড়ীর নিষিদ্ধ পল্লীর একটা শিশুও পাপী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। নিজের বাচ্চাকেও যেভাবে আদরে রাখি, কেনো পারি না নিজের সন্তানদের মতো যৌনপল্লীর শিশুকে বুকে জড়িয়ে নিতে। গতকাল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার নিষিদ্ধ পল্লীর সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষারমান উন্নয়নে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা আয়োজনে মুক্তি মহিলা সমিতির কার্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ পেয়ে এ সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মুখে হাসি ফুটে উঠে। মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ প্রতিপাদ্যে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সভাপতিত্বে দৌলতদিয়ার যৌন পল্লীর প্রায় ৩ শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও কিশোরদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, নিজের পরিবারকে ছেড়ে জীবন বিলিয়ে দিতে এ নিষিদ্ধ পল্লী বা পতিতা পল্লীতে কেনো আসে এই মেয়েরা? এই সকল মেয়েরা বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বা দালালের মাধ্যমেই এখানে এসেছে। দেশের বৃহত্তম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের উদ্দেশে ডিআইজি বলেন, আপনাদের শরীর বিক্রয়ের টাকায় যাতে কেউ ভাগ বসাতে না পারে, সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। সমাজে যারা অবহেলিত, যে সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশু শিক্ষা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য কাজ করবে পুলিশ। শিক্ষা উপকরণ বিতরণ শেষে মুক্তি মহিলা সমিতির মুসলিম চ্যারিটি (ইউকে) ডে কেয়ার সেন্টারের উদ্ধোধন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন