শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

৯ মাসে পারেননি ৩ মাসে কী করবেন আতিককে তাবিথ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৫০ পিএম

তিন মাসের মধ্যে ঢাকার যানজট নিরসন করবেন উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের এমন প্রতিশ্রুতির বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, উনি (আতিকুল) ৯ মাস মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। ৯ মাসে যানজট নিরসন করতে দেখিনি, এখন তিন মাসে কী করতে পারবেন, সেটার ব্যাখ্যা উনিই দিতে পারবেন। সোমবার মিরপুরের ২ নম্বর সেকশনে গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল একথা বলেন।

মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাবিথ বলেন, প্রতি মাসেই ট্রাফিক উন্নত হচ্ছে। এক বছরের মাথায় একটা চলমান ঢাকা আমরা (মেয়র নির্বাচিত হলে) গড়ে তুলতে পারব। এখন ঢাকায় মাত্র চার কিলোমিটারে গাড়িগুলো চলে, আমরা সেটাতে আট কিলোমিটারে অতিক্রম করতে পারব এক বছরের আগেই। নির্বাচন পরিস্থিতি কেমন দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, নিয়মিত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আজকে পরিস্থিতি শান্ত। নির্বাচন কমিশনকে বলব- ওনারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে চেষ্টা করেন। কারণ ওনারা প্রমাণ করেছে যে, একটা নতুন তারিখ দিয়ে সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য তারিখ নির্ধারণ করা যায়। আশা করি, ওনারা আগামী নির্বাচনটাও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করবেন।

প্রচারণার ১১তম দিনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে নামেন বিএনপি মহাসচিসব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতারা। মির্জা ফখরুলের পর গণসংযোগে যুক্ত হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তাবিথ আউয়ালের গণসংযোগে মির্জা ফখরুলসহ জাতীয় নেতাদের আমগনকে কেন্দ্র করে মিরপুরের ৬ নম্বর বাজারের বিপরীত পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ জনগণ আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। বিএনপি মহাসচিব তাবিথ আউয়াল ও ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনসহ (ঘুড়ি প্রতীক) বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উত্তর-পশ্চিম পাশ হয়ে আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় হাজার হাজার নেতা-কর্মী ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, ধানের শীষে ভোট চাই’, ‘ভোট দিবেন কিসে, ধানের শীষে’, ‘ভোট দিবেন হাসিয়া, ধানের শীষ দেখিয়া’ ইত্যাদি স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করেও তোলেন। প্রায় এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রচারণা চালান মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের সাথে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে, আমরা দেখছি জনমত আমাদের পক্ষে রয়েছে, সাধারণ জনগণ আমাদের পক্ষে রয়েছেন। আমরা মনে করি, পরিস্থিতি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ রকম থাকলে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতি, দুঃশাসন, ডেঙ্গু ও দূষণ থেকে যেমন মুক্তি চাই। আমরা চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হলে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।

তাবিথ আউয়াল মিরপুরের চেতনা মডেল একাডেমি হয়ে রূপনগর এলাকায় প্রচারণা চালান। তার সঙ্গে ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দা মিলি জাকারিয়া চৌধুরীও প্রচারে অংশ নেন। দুপুরের দিকে তাবিথ আউয়ালের গণসংযোগে যুক্ত হন আ স ম আবদুর রব, আবদুল মঈন খান, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তারা ১১ সেকশনে সি ব্লকের ৩ নম্বর এভিনিউতে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। আ স ম আবদুর রব ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার এর আগেও ভোট চুরি করেছে, এখন আবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরি করতে চাইছে। এবার ভোট চোরদের হাত কেটে দিতে হবে। আপনারা ভোট দিতে যাবেন, নিজের ভোট নিজে প্রয়োগ করবেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, বিনা ভোটে নয়, মানুষের ভোটে নির্বাচিত হতে চায় বিএনপি। আপনারা ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মৌসুমী পাখির মতো আমরা আপনাদের কাছে আসিনি। অনেক প্রার্থী আছে ভোটের সময় আসে, নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ডেঙ্গু দমন করতে পারে না, আর্বজনা সরাতে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন