ট্রাক থেকে উদ্ধার হওয়া দুই চালক হত্যার শিকার হয়েছেন। হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে তাদের লাশ একটি ট্রাকে করে সিলেট সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড় সংলগ্ন সড়কের পাশে রেখে যায়।
ঘটনাটি যাতে দুর্ঘটনা মনে করা হয়, এজন্য ট্রাক রাস্তার পাশে রেখে খুলে নেয়া হয় ছয়টি চাকা। গতকাল শুক্রবার উদ্ধার করা নিথর দেহ দু’টির বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।
ঘটনার পর গত রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিক তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি আখতার হোসেন বলেন, আটক ৩ জনের দুইজন হত্যাকারী। অপরজনের কাছ থেকে লাশ রাখা গাড়ির ছয়টি চাকা জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
পুলিশ জানায়, নিহতরা হত্যার শিকার। লাশ দু’টির পরিচয় নিশ্চিত হলেও কোথায় কীভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, আর লাশ দু’টি সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ জনাকীর্ণ সড়কের লালমাটিয়ায় ট্রাকের কেবিনে কীভাবে রাখা হলো এসব তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আগেই বলেছি। নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দুর্ঘটনা হলেও ট্রাকের চাকা খুলে নেওয়ার কথা নয়। দুর্ঘটনার আলামতও পাওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন-চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা বাগদী গ্রামের কাদেরের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) ও দীন মোহাম্মদের ছেলে রাজু আহমদ (২৫)। তারা পেশায় দু’জনই গাড়িচালক।
পুলিশ সূত্রে জানায়, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ট্রাকের ভেতর থেকে দু’টি লাশ উদ্ধার করে। প্রথমে ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হলেও পরে চাকাবিহীন ট্রাক দেখে পুলিশ ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ধরে তদন্তে নামে।
এসএমপির মোগলাবাজার থানা পুলিশ জানায়, ট্রাকটির মালিক চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার আইলদীপুরের আতাউর রহমান (৪০)। এর আগে ট্রাকটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার গাজীপুরের জয়দেবপুর ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন