শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধির স্তর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জেলা পর্যায়ে চার স্তরবিশিষ্ট নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে- ১. জেলা চেয়ারম্যান (যদিও নির্বাচন হয় না), ২. উপজেলা চেয়ারম্যান ৩. ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড মেম্বার। কিন্তু সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই স্তরবিশিষ্ট নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে- ১. সিটি মেয়র এবং ২. ওয়ার্ড কাউন্সিলর। দেখা যাচ্ছে, জেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ বেশি; কিন্তু সিটি করপোরেশন পর্যায়ে খুবই কম। একটি সিটি করপোরেশন এলাকা কয়েকটি থানা নিয়ে গঠিত হয়। অতএব, সিটি এলাকায় প্রতিটি থানায় এখন থানা কাউন্সিলর সৃষ্টি করলে জনপ্রতিনিধি বৃদ্ধি পাবে এবং নাগরিকসেবাও বাড়বে। করপোরেশনে প্যানেল মেয়র থাকবে, থানা কাউন্সিলর থাকবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে। প্রতিটি থানায় একটি করে থানা কাউন্সিলর অফিস থাকবে এবং মাঝারি ধরনের নাগরিকসেবা এই অফিস থেকে নিতে পারবে। যেমনÑ সকল প্রকার লাইসেন্স নবায়ন, জন্ম মৃত্যু সনদের সংশোধন, তথ্য ও ই-সেবা, বিভিন্ন ধরনের ফরম বিতরণ, ওয়ার্ড পর্যায়ের উন্নয়ন সমীক্ষা, নাগরিকদের উন্মুক্ত আলোচনা কেন্দ্র অফিস নির্ধারিত থাকবে। নাগরিকসেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে এলে নাগরিকগণ ভুক্তভোগী কম হবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাজেস কোর্ট, খুলনা।

পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন
সব ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করার আগে নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশনের (পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট) প্রয়োজন হয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পাসপোর্ট ফরমের সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদনকারীর দেওয়া তথ্যাবলি যে কোনো প্রথম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা অথবা তালিকাভুক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি দ্বারা সত্যায়িত করানো হয়ে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, এর পরেও কি আর পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন আছে? আর পুলিশ ভেরিফিকেশন যদি একান্তই প্রয়োজন হয়ে থাকে, তাহলে জাতীয় পরিচপত্রের গুরুত্বটা কোথায় রইল?
পুলিশ ভেরিফিকেশন সময়মতো না পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট পেতে অনেক সময় দেরি হয়ে থাকে। পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট কতদিনের মধ্যে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে, তা নির্দিষ্ট না থাকায় তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার করা বিচিত্র নয়। এ অবস্থায় আমরা মনে করি যে, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তাদের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু করা যেতে পারে। এ জন্য সরকারের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট একটি নির্দেশ থাকা থাকা প্রয়োজন। পাসপোর্ট পাওয়া সব নাগরিকের একটি অধিকার। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
খন্দকার আবদুর রাশেদ
বাড়ি-২৫, রাস্তা ১, সেক্টর ৬, উত্তরা, ঢাকা।

স্কুলের জন্য সহযোগিতা চাই
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাঁচাইয়া-নয়াকান্দি সবচেয়ে কাছের যে স্কুলটি সেটিও প্রায় চার মাইল দূরে অবস্থিত। ফলে আমাদের মেয়েরা পথে-ঘাটে বখাটে ছেলেদের দ্বারা উত্ত্যক্ত হতো। এহেন অবস্থায় এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী স্কুল কলেজে পড়–য়া তরুণ উদ্যোক্তা একটি স্কুল স্থাপন করে, যার বয়স আজ প্রায় দশ বছর হতে চলল। বিএনডি, ফোরাম হাইস্কুলের (বাঁচাইয়া-নয়াকান্দি ডেভেলপমেন্ট ফোরাম হাইস্কুল) শিক্ষার্থীরা স্থানীয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক পরীক্ষাগুলোতে ঈর্ষণীয় ফলাফল করছে ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। এত সফলতার পরও স্কুলটির চোখে পড়ার মতো নেই কোনো অবকাঠামো। দুটি দোচালা ঘরে গাদাগাদি করে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করতে হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নির্মল বিনোদনের জন্য নেই খেলার মাঠ। আর্থিক দুরবস্থার কারণে শিক্ষকদেরও প্রাপ্য সম্মানী দেওয়া যাচ্ছে না। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে স্কুলটি অবকাঠামোমূলক উন্নয়নের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো অনুদান পাওয়া যায়নি। আমাদের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। আমরা আশাকরি সরকার আমাদের এই স্কুলটি সার্বিক উন্নয়নে তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।
মিলন সরকার, বাঁচাইয়া, পালাখাল, কচুয়া, চাঁদপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন