বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএমইটিতে জাল-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ছে

একটি এজেন্সিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিএমইটির ইমিগ্রেশন শাখায় জাল-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। জালিয়াত চক্র এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারির সাথে যোগসাজক করে সউদী গমনেচ্ছু কর্মীদের বর্হিগমন ছাড়পত্র সংগ্রহে কাগজপত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে মানবপাচারে তৎপর রয়েছে। সোমবার বিএমইটির ইমিগ্রেশন শাখায় একাধিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে রিক্রুটিং এজেন্সি মারভেলাস ওভারসীজ (৮৪৩) সউদী আরবে বেশ কিছু কর্মীর বর্হিগমন ছাড়পত্র ও স্মার্ট কার্ড আনতে গেলে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখার ম্যাজিষ্ট্রেটের অভিযানে ধরা পড়ে। ম্যাজিষ্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে মারভেলাস ওভারসীজ কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এতে খোঁদ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, মারভেলাস ওভারসীজ এর পার্টনার জোহরা সাহাব উদ্দিন তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সউদীতে কর্মী পাঠাতে বর্হিগমন ফাইলে কর্মীর পেশা ঘষামাজা করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ইমিগ্রেশন শাখায় উত্থাপন করে। পরে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্টের শাখার সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের অভিযানে এসব জাল জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ম্যাজিষ্ট্রেট জালিয়াতির মাধ্যমে মানবপাচারের চেষ্টার অপরাধে মারভেলাস ওভারসীজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অপর একটি অসমর্থিত সূত্র জানায় রিক্রুটিং এজেন্সি নাঈম এয়ার এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসও বিদেশে কর্মী প্রেরণে জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে। এ বিষয়টি জানার জন্য মারভেলাস ওভারসীজের পার্টনার জোহরা সাহাব উদ্দিন ও নাঈম এয়ার এমপ্লয়মেন্টের স্বত্বাধিকারি রেজাউল করিমের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। ইতিপূর্বেও একটি রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারক মালিককে জাল-জালিয়াতির অপরাধে ইমিগ্রেশন শাখায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্ত তার পরেও প্রতিদিন দালাল চক্র বিএমইটির ইমিগ্রেশনে অহরহ প্রবেশ করছে।
প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্টের প্রধান অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন গতকাল মঙ্গলবার বিএমইটিতে জাল-জালিয়াতির ঘটনায় মারভেলাস ওভারসীজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিষয়টি স্বীকার করে ইনকিলাবকে বলেন, জনগণের স্বার্থে জাল-জালিয়াতি ও মানবপাচার রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, জালিয়াত চক্রের সাথে জড়িত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরও আমরা ধরবো। তিনি বলেন, বৈধভাবে বিদেশে জনশক্তি রফতানিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বিএমইটির পরিচালক (ইমিগ্রেশন) মজিবুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করবে বায়রার পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনশক্তি রফতানির এই খাতকে যারা কুলষিত করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন