কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় চার লেন সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে চললেও কাজের বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বিদ্যুৎতের খুটিগুলো। এখনো সরানো হয়নি কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের খুটি। আগামী জুন মাসের মধ্যে ব্যস্ততম এলাকা কলাতলীর মেইন সড়কের কাজ বুঝিয়ে দিতে চাইলেও পারবে না বলে মনে করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা ও ঠিকাদাররা।
এদিকে কলাতলী থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত অধিকাংশ সড়কের প্রশস্ত করণের কাজ হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ কক্সবাজারের দায়িত্বে থাকা বিদ্যুৎতের খুটি দাড়িয়ে আছে আগের জায়গায় এমনটিই দেখা গেছে এলাকা ঘুরে। এতে কলাতলী এলাকায় সড়ক প্রশস্ত করণের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুৎতের খুটির কারণে বাকি কাজ এগুতে পারছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। গত নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে লিংকরোড পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেন করার কাজ। কলাতলী হয়ে বাইপাস-নতুন জেলখানা ও বাস টার্মিনাল হয়ে লিংকরোড পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা। কক্সবাজার সড়ক জনপথ বিভাগ কাজটি বাস্তবায়ন করছে। মাঝখানে ১০ ফুট ডিভাইডার, ২ পাশে ৬ ফুট করে ড্রেনসহ সড়কটি প্রশস্ত হবে ৭১ ফুট। ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে প্রায় ৯০ কোটি টাকা জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবত জমির মালিকদের প্রদান করা হবে। বাকি অর্থ সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে কলাতলী হোটেল মোটেল জোন এলাকায় কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি হোটেল মোটেল জোনে সড়কের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের খুটি দাড়িয়ে আছে আগের জায়গায়। বিদ্যুৎতের খুটি উঠিয়ে ফেলা হয় অচিরেই কাজ শেষ হবে কলাতলী ব্যস্ততম এলাকায় এবং পর্যটকদের ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সরকারি নিয়মে বিদ্যুৎ খুটি সরিয়ে নিতে ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ কক্সবাজারকে দিয়েছি। তারা খুটি সরিয়ে নিলে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ঠিকাদারদের দিয়ে অচিরেই ব্যস্ততম এলাকা কলাতলী লাবণী পয়েন্ট থেকে হোটেল মোটেল জোনের কাজ আগামী জুন মাসের আগেই শেষ করতে চাই
এ ব্যপারে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমাদের গত মাসে টাকা হস্তান্তর করেছে। চাহিদা মতো মালামালের মধ্যে ১১ কেভি লাইন এর কাজ করতে হবে। তার জন্য আমরা মালামাল ক্রয় করেছি। আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করবো। এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমদের এখনো খুটি বসানোর জায়গা দেখিয়ে দেননি তাই আমরা সব জায়গায় কাজ এখনো শুরু করতে পারি নাই। তিনি আরও বলেন, গত মাসের ২১ তারিখ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ৬ শত ৯৮ টাকার মালামাল ক্রয় করেছে। তবে এলাকার কথা চিন্তা করে আমরা ইতোমধ্যেই টার্মিনালের পাশে কিছু কাজ শুরু করে দিয়েছি আশা করছি শিগগিরই কাজ শেষ করতে পারবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন