বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহান একুশে সংখ্যা

ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩২ এএম

মনের ভাব প্রকাশের জন্য মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মাতৃভাষা। মানুষকে আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে তাঁর খলিফা বা প্রতিনিধি করে। মানুষ আল্লাহ্ও সেরা সৃষ্টি আশরাফুল মাখ্লুকাত। মানুষকে আল্লাহ জাল্লা শানুহু গভীর মনোনিবেশ করার, চিন্তা-ভাবনা করার, উদ্ভাবন ও আবিষ্কার করার ক্ষমতা দিয়েছেন, জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েছেন, স্মরণশক্তি দিয়েছেন। মানুষকে তিনি দান করেছেন সুন্দর অবয়ব। ইরশাদ হয়েছে : ‘লাকাদ খালাকনাল ইন্সানা ফি আহ্সানি তাকভিম’- আমি তো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে (সূরা ত্বীন : আয়াত-৪)। মানুষকে আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু শুধু সুন্দরতম আকৃতিতেই সৃষ্টি করেননি, তিনি তাঁকে মনের ভাব প্রকাশের জন্য কথা বলার শক্তি দিয়েছেন। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : ‘খালাকাল ইন্সানা ‘আল্লামাহুল বায়ান’- তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করতে (সূরা র্আরহমান : আয়াত- ৩-৪)।
মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য তার মাতৃভাষাই হচ্ছে সর্বোত্তম মাধ্যম। যতো সহজে মনের ভাব মাতৃভাষার ব্যক্ত করা সম্ভব হয়, অন্য কোনো ভাষায় তা ততো সহজে ব্যক্ত করা সম্ভব হয় না। এমনকি অন্য ভাষা চেষ্টা-তদ্বির করে, দিনকে দিন অনুশীলনের মাধ্যমে আয়ত্ত করা সম্ভব হলেও তা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কতন্ত্রীতে তার বোধগম্যতা প্রতিধ্বনিত হয় কিন্তু মাতৃভাষাতেই। আমরা অন্য ভাষাকে অনুধাবন করি নিজের ভাষাতেই তথা মাতৃভাষার মাধ্যমেই।
পৃথিবীতে বর্তমানে অসংখ্য ভাষা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু অপ্রচলিত ভাষার অস্তিত্বও কোনোভাবে টিকে আছে। কালক্রমে বেশ কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে মানব সভ্যতার উত্থান-পতনের কারণে। আবার কিছু ভাষা বিলুপ্তির পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু মানুষকে হিদায়াত দান করার জন্য, সত্য-সুন্দর পথে চলার পথনির্দেশনার জন্য, সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করার জন্য, এক আল্লাহ্রই ইবাদত করার তাকিদ দেয়ার জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই- এই সত্য কায়েম করার জন্য যুগে যুগে বহু নবী-রাসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা যে দেশে বা যে জনপদে প্রেরিত হয়ে এসেছেন সেই দেশের বা জনপদের মানুষের মাতৃভাষাতেই তাঁরা হিদায়াতের বাণী প্রচার করেছেন। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : ‘ওয়ামা আরসালনা মির রসুলিনা ইল্লা বিলিসানি কওমিহি লিইউবায়য়িনা লাহুম’- আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তার নিজ কওমের ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছি তাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য (সূরা ইব্্রাহিম: আয়াত-৪)।
এই আয়াতে কারিমায় মাতৃভাষার গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে যায়। আমরা লক্ষ্য করি যে, পৃথিবীতে অসংখ্য ভাষার এই বিচিত্র সম্ভার মানব সভ্যতাকে জ্ঞানরাজ্যের ধারাবাহিক স্রোতে যেন অবগাহন করাচ্ছে। ভাষার বিচিত্রতা আল্লাহ জাল্লা শানুহুর কুদরত ও নিয়ামতেরই অপূর্ব নিদর্শন। আল্লাহই এই অপূর্ব নিদর্শন সম্পর্কে কুরআন মজিদে র্ই্শাদ হয়েছে : ‘এবং তার (আল্লাহর) নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য’ (সূরা রুম : আয়াত-২২)।
পৃথিবীতে এক লাখ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূল এসেছেন। তারা সকলেই তাওহিদ প্রচার করেছেন, ইসলামের পথে মানুষকে আহবান করেছেন। তাদের মধ্যে সহিফা পেয়েছেন অনেকেই, কিতাব পেয়েছেন কয়েকজন। সেই সমস্ত পুস্তিকা বা পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থের ভাষা সংশ্লিষ্ট নবী বা রাসূলের নিজস্ব ভাষা।
সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী সরওয়ারে কায়েনাত হজরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাতৃভাষা আরবিতে নাযিল হয়েছে আল-কুরআনুল কারিম। কেন কুরআন মজিদকে আল্লাহ জাল্লা শানুহু আরবি ভাষায় নাজিল করলেন, সে সম্পর্কে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করে আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : ‘আমি তো আপনার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা মুত্তাকিদেরকে সুসংবাদ দিতে পারেন এবং এর দ্বারা বিতন্ডপ্রবণ সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিতে পারেন’ (সূরা মরিয়াম : আয়াত-৯৭)।
এই আয়াতে কারিমায় উল্লিখিত, “আমি তো আপনার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি’ (ফা ইন্নামা ইয়াস্্সারনাহু বিলিসানিকা)- এই কালাম মজিদ মাতৃভাষার গুরুত্ব যে কত অপরিসীম তা সুস্পষ্টভাবে নিরূপণ করে দেয়।
আমাদের বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু হয় ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ‘উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুর খিলাফতকালের মধ্যভাগ-৬৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে। বাংলাদেশে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে সুদূর ‘আরব, ইয়েমেন, পারস্য, তুরস্ক, মিসর, খোরাসান প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষাভাষী অঞ্চল থেকে আসেন; তাঁরা এখানকার ভাষাকে আত্মস্থ করে এখানকার ভাষাতেই ইসলামের দিকে এখানকার মানুষকে আহবান জানান। ইসলামে মাতৃভাষার প্রতি কদর দেয়ার নির্দেশ থাকায় এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য দেশের ভাষা শিক্ষা করার হুকুম দেয়ায় মুসলিমদের মধ্যে নিজ মাতৃভাষার প্রতি যেমন দরদ রয়েছে, তেমনি অন্যের মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মানসিকতা রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইসলামের আগমনের পূর্বে বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষা দারুণ অবহেলিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় ছিল। এ ভাষায় জ্ঞানচর্চা করলে রৌরব নামক নরকে যেতে হবে এমনতর কঠোর ও ভীতিপ্রদ বিধানও জারি করা হয় ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসকশ্রেণী দ্বারা। মূলত বাংলাদেশে ইসলামের আগমনের ফলে এ দেশের মানুষের সার্বিক অনুভবে যেমন স্বস্তির হাওয়া প্রবাহিত হয়, তেমনি এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার পথে হাঁটতে শুরু করে, আপন সত্তাকে প্রকৃত শান্তির দ্বারা আপ্লুত করার পথ পরিক্রম লাভ করতে থাকে, তাদের মাতৃভাষা দিয়ে আপন ভুবন নির্মাণের সুযোগ লাভ করে। আর তা এখানে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে সম্ভব হয়েছিল।
ইসলাম মাতৃভাষার প্রতি যত্নবান হওয়ার জোর তাকিদ দিয়েছে। জ্ঞান চর্চার সর্বোত্তম মাধ্যমই হচ্ছে নিজের ভাষা বা মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করলে অতি সহজেই তা আয়ত্তে আনা সম্ভব হয় এবং দেশের মানুষের সামনে তা তুলে ধরা সম্ভব হয়। সভ্যতার চরম বিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাচীন যুগের সভ্যতা গোঁজ আকৃতির বিশেষ ধরনের লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে মানবসভ্যতাকে লেখার জগতে নিয়ে আসে। ইরাকের তথ্য মেসোপটেমিয়ার সুমেরদের দ্বারা উদ্ভাবিত সেই গোঁজ আকৃতির লেখার ভাষা ছিল সুমেরদের মাতৃভাষা। এমনিভাবে মিসরের ছবি অক্ষর দ্বারা লিখন পদ্ধতি এবং ফনিশীয়দের আলফা বায়ত বা এলফাবেট ব্যবহারের ভাষাও ছিল তাদের মাতৃভাষা।
বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চার সুদূরপ্রসারী অগ্রসরতার সূচনা হয় বাংলার সুলতানদের একান্ত পৃষ্ঠপোষকতায় সেই ইংরেজি ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে। এই প্রসঙ্গে ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি লিখেছেন, মুসলমান আগমনের পূর্বে বঙ্গভাষা কোনো কৃষক রমণীর ন্যায় দীনহীন বেশে পল্লী কুটিরে বাস করছিল। বাঙলা ভাষা মুসলমান প্রভাবের পূর্বে অতীব অনাদর ও উপেক্ষায় বঙ্গীয় চাষার গানে কথঞ্চিত আত্মপ্রকাশ করিতেছিল। পন্ডিতেরা নস্যাধার হইতে নস্য গ্রহণ করিয়া শিখা দোলাইয়া সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করিতেছিলেন এবং ‘তৈলধার পাত্র’ কিংবা ‘পাত্রাধার তৈল’ এই লইয়া ঘোর বিচারে প্রবৃত্ত ছিলেন। তাঁহারা হর্ষচরিত হইতে ‘হারং দেহি মে হরিণি’ প্রভৃতি অনুপ্রাসের দৃষ্টান্ত আবিষ্কার করিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করিতেছিলেন...। সেখানে বঙ্গভাষায় স্থান কোথায়? ইতরের ভাষা বলিয়া বঙ্গভাষাকে পন্ডিতমন্ডলী ‘দূর দূর’ করিয়া তাড়াইয়া দিতেন, হাড়ি-ডোমের স্পর্শ হইতে ব্রাহ্মণেরা যেরূপ দূরে থাকেন, বঙ্গভাষাও তেমনই সুধীমহলে অপাঙ্ক্তেয় ছিল- তেমনই ঘৃণা, অনাদর ও উপেক্ষার পাত্র ছিল। কিন্তু হীরা কয়লার খনির মধ্যে যেমন জহুরির আগমনের প্রতীক্ষা করে, শুক্তির ভেতর মুক্তা লুকাইয়া থাকিয়া যেরূপ ডুবুরির অপেক্ষা করিয়া থাকে, বঙ্গভাষা তেমনই শুভদিন, শুভক্ষণের প্রতীক্ষা করিতেছিল। মুসলমান বিজয় বাঙলা ভাষার সেই শুভদিন, শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করিল।”
আরবিতে কুরআন মজিদ নাজিল হওয়ায় আরবি ভাষাভাষী অঞ্চলের নিকট এটা সহজে অনুধাবনীয় হয়ে যায়। তাঁরা কুরআন মজিদের বাণী ও শিক্ষা বাইরের দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেন, যা বিভিন্ন অঞ্চলের নিজ নিজ মাতৃভাষায় অনূদিত হয়ে জগতজুড়ে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটায়।
আরবি ভাষায় কুরআন মজিদ নাজিল হওয়ার কারণ সম্পর্কে আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন, ‘এ আমি নাজিল করেছি আরবি ভাষায় কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পারো (সূরা ইউসুফ : আয়াত-২)। আরবি ভাষায় কুরআন মজিদ নাজিল হওয়ার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘এভাবেই আমি কুরআন নাজিল করেছি আরবি ভাষায় এবং তাতে বিশদভাবে বিবৃত করেছি সতর্কবাণী, যাতে ওরা ভয় করে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ’ (সূরা তহা : আয়াত-১১৩)। কুরআন মজিদে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি এই কুরআন মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছি, যাতে ওরা উপদেশ গ্রহণ করে। আরবি ভাষায় এই কুরআন বক্রতামুক্ত, যাতে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করে (সূরা যুমার : আয়াত- ২৭-২৮), আরবি ভাষায় কুরআন, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য’ (সূরা হামিম আস সাজদা : আয়াত-২)। এভাবে আমি আপনার প্রতি কুরআন নাজিল করেছি ‘আরবি ভাষায় যাতে (হে রাসূল) আপনি সতর্ক করতে পারেন মক্কা ও এর চতুর্দিকের জনগণকে’ (সূরা শূরা : আয়াত-৭)।
কুরআন মজিদে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাতৃভাষায় নাজিল করে আল্লাহ জাল্লা শাহনুহু মাতৃভাষার গুরুত্ব যে কত তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করে আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন, ‘আমি আপনার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে ওরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (সূরা দুখান : আয়াত-৫৮)।
ইসলাম মাতৃভাষার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করায় ইসলাম যেখানেই গিয়েছে, সেখানকার জনগণের মাতৃভাষাকে আপন করে নিয়েছে এবং তাকে যথাযথ পরিচর্চা করার প্রেরণায় উদ্দীপ্ত করেছে। তাই তো আমরা লক্ষ্য করি, বাংলাদেশে ইসলাম আসার পর থেকে এর মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে বাংলাভাষী জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ ইসলাম অবলম্বী। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে এর বিকাশে ও উন্নয়নে পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন বাংলার মুসলিম সুলতানগণ। আবার এই ভাষার ওপর যখন আঘাত এলো, তখন এই ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য, এই ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যাঁরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, তাঁরাও মুসলিম। এই ভাষার জন্য যাঁরা জান কুরবান করলেন, তাঁরা হচ্ছেন- আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার, রফিক, শফিক, সালাম প্রমুখ। তাঁরা মাতৃভাষার জন্য শহীদ হয়ে এক কালজয়ী ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে। আজ বিশ্বের সব দেশ তাঁদের স্মরণ করছে। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হয়েছে। মাতৃভাষা আল্লাহ জাল্লা শানুহুর এক অনন্য নিয়ামত। এর মর্যাদা সমুন্নত রাখার মধ্যেই আমাদের জ্ঞানরাজ্যে বিচরণের সার্থকতা নিহিত রয়েছে।
লেখক : মুফাসসিরে কুরআন, পীর সাহেব, দ্বারিয়াপুর শরিফ, সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন