চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন আগামী ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন কেন্দ্র করে মেয়রপ্রার্থী চূড়ান্ত করেছে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সেই সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে সাবেক ছ্ত্রালীগ নেতা মো. জিল্লুর রহমান, বিএনপির প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভূঁইয়া এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হিসেবে মামুনুর রহমান বেলালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণবভনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারি জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মো. জিল্লুর রহমান নাম ঘোষণা করা হয়।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভুঁইয়ার নাম ঘোষণা করেন। চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে একক প্রার্থী হিসেবে তার নাম বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রেরন করেন।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রী থেকে প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে জেলা সংগঠনের নেতা মামুনুর রশিদ বেলালকে। তিনি সেই আলোকে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অন্য কোন রাজনৈতিক দল থেকে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে প্রার্থীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা গণমাধ্যমে আসেনি।
একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন জুয়েল। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক তিনি। অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি। চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যানও তিনি। এছাড়া তিনি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নবীন এবং বিএনপির প্রবীণ প্রার্থীর ভোটের লড়াই হবে বেশ জমজমাট। সেই অপেক্ষায় রয়েছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের মানুষ।
আগামী ২৯ মার্চ চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে চলতি মাসের ২৭ তারিখে মেয়রসহ কাউন্সিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার দেওয়ার শেষ দিন, বাছাই ১ মার্চ, প্রত্যাহার ৭ মার্চ এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মার্চ।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন বলেন, এই প্রথম ভোটগ্রহণে চাঁদপুর পৌরসভায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এতে ১৫টি ওয়ার্ডে মোট এক লাখ ১৮ হাজার ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন