নাটোর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া গ্রামের শাক তুলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় চম্পা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে।এই ঘটনায় অপর দু’জন আহত হয়েছে। নিহত চম্পা বেগম ঐ গ্রামের আখতার হোসেনের স্ত্রী। অপর দুইজন আহতরা হলো- নিহত চম্পা বেগমের ছেলে আকাশ ও স্বামী আক্তার হোসেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে উপজেলার দুড়দুড়িয়া এলাকার পালপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার চিকিৎসাধঅন অবস্থায় বুধবার গ্রহবধু চম্পার মৃত্যু হয়। এঘটনায় আসামি রুলি বেগমকে আটক করেছে লালপুর থানার পুলিশ।
লালপুর থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার বিকালে দুড়দুড়িয়া পালপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী চম্পা বেগম বাড়ীর পাশে রাস্তার ধারে শাক তুলতে থাকে, এসময় প্রতিবেশি মমজেদের স্ত্রী রুলি বেগমের সহিত কথা কাটাকাটি হয় চম্পা বেগমের। একপর্যায়ে মমজেদ ও তার ছেলে রবি মারমুখি হয়ে চম্পার মাথায় আঘাত করে। এ সময় চম্পার চিৎকারে তার ছেলে আকাশ ও স্বামী আক্তার এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ রুলি, রবি, মমজেদ সহ কয়েকজন তাদেরকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে প্রতিবেশিরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।পরে আজ বুধবার (২৬ফেব্রæয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধু চম্পার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহতর ছেলে রাজন বাদি হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পরে লালপুর থানা পুলিশ আসামি রুলি বেগম কে আটক করেছে।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা মামলা ও আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন