ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে বিআইডব্লিউটির উচ্ছেদ অভিযানে ৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এটি ছিল বিআইডব্লিউটিএর ঢাকার চারপাশে নদী দখল-দূষণ মুক্তকরণের উচ্ছেদ অপসারণ অভিযানের ২য় পর্বের ১১ কার্যদিবস।
অভিযানে বসুন্ধরা গ্রুপের পুরানো একটি ময়দার ফ্যাক্টরি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ১০টি ড্রেজার পাইপের লাইন ধ্বংস করে ফেলা হয়। এছাড়া আধাপাকা দোকান-পাটসহ অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় বেদখল হওয়া নদীর প্রায় সাড়ে তিন একর জমি উদ্ধার করা হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানায় রাখা বালু ও পাথরকুচি প্রায় ২৬ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
বিআইডব্লিউটির যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নৌবন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, অভিযানে ১ তলা পাকা ভবন ৬টি, আধাপাকা ভবন ৫টি, পাকা ওয়াল ৫টি, টিনের ঘর ২৫টি, ১০টি ড্রেজার পাইপসহ ৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সাড়ে তিন একর জমি উদ্ধার করা হয়। ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করা হয় এবং ১ লাখ ৫২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিআইডব্লিউটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম বলেন, নদীর তীর দখল করে পাথর ও বালুর ব্যবসা করার অপরাধে ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে তিনজনকে অর্থন্ডি দেয়া হয়েছে। এ সময় নদীর তীরে রাখা বালু ও পাথর কুচি জব্দ করে প্রায় ২৬ লাখ টাকা বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন