দিল্লিতে যা ঘটছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের নাক গলানো ঠিক নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত ছিলো আমাদের প্রধান মিত্র দেশ। দিল্লি ইস্যু নিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনে ভারতকে আমন্ত্রণ থেকে বাদ দেয়াটা অকল্পনীয়। অকৃতজ্ঞতার পরিচয়।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের এখানে কোনো বিরোধ- প্রতিক্রিয়া হলে এ বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি। কিন্তু এ রকম একটা অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ ভারত এবং স্বাধীনতার যুদ্ধে সহযোগিতাকারী প্রধান দেশ হিসেবে সে দেশের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দেবো- এটাতো চিন্তাও করা যায় না।
মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে না আনার জন্য ক্যাম্পেইনও হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশেও রাজনীতিতে বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এ নিয়ে সরকার আর বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কটা সুখকর নয়।
নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সাংবাদিক ও মালিক উভয় পক্ষকে কিছু ছাড় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের স্বার্থকেও আমাদের দেখতে হবে। আবার যারা মালিক পক্ষ সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেবে, তাদের সঙ্গেও কিছুটা বোঝাপড়ার বিষয় আছে। তা না হলে তো সমাধান হবে না। এটা সবাইকে বুঝতে হবে একটি বাস্তবভিত্তিক মনমানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে যুক্তির বিচারে চলতে হবে, যার যার অবস্থানে অনড় থাকলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। এটা হলো বাস্তবতা।
নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নবম ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন মন্ত্রিসভা কমিটি ফাইনালি দেখে একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, একটা অ্যাডজাস্টমেন্টের চেষ্টা করেছে। এখন সাংবাদিক ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে আবার রিট করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের যেকোনো ব্যাপারে বাস্তববাদী হতে হবে। শুধু বৈঠক করলে হবে না। সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যেও বসতে হবে। কারণ আপনারা যারা বেতন নেবেন আর যারা বেতন দেবেন তাদের সঙ্গে একটা কম্প্রোমাইজ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখানে সাংবাদিকদের স্বার্থটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। তাদের রুটি-রুজির বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। কাজেই আমার মনে হয় সমস্যাটি সমাধানে উভয় পক্ষকে বাস্তবভিত্তিক পথ খুঁজতে হবে। সাংবাদিকদেরও বাঁচতে হবে মালিকদেরও স্বার্থ রক্ষা করে তাদের ইন্ডাস্ট্রি চালাতে হবে। এই দুটা বিষয়ের মধ্যে একটা বোঝাপড়া করতে হবে বলে আমি এটাই মনে করি।
নবম ওয়েজবোর্ডকে কেন্দ্র করে ছাঁটাই চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া তো মালিকদের হাতে। তারা মামলায় যাবেন ছাঁটাই করবেন সে অস্ত্র তো তাদের হাতে। যেহেতু সে প্রতিষ্ঠানের মালিক। মালিক হিসেবে ছাঁটাইয়ের অধিকার তার আছে। সেটা সে করতে যাবেন। আমরা এজন্য দু-একটা বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে সমাধান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের পক্ষ থেকে মামলা ঠুকে দিল।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন