স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য উদযাপনের লক্ষ্য নিয়ে একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আহবায়ক করে নয়জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এই কমিটি করে গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করা না যাওয়ায় ইতোমধ্যে মুজিববর্ষের মেয়াদকাল ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতাবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে এই কমিটিতে সহায়তাকারী কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে।
এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও সহায়তাকারী কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে কমিটিতে।
কমিটিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কর্মসূচি প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা জাতীয় কর্মসূচি পর্যালোচনা, সংযোজন বা বিয়োজন করতে বলা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মাঠ পর্যায়ে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সুপারিশ দেওয়া ছাড়াও কমিটিকে উপযুক্ত বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। গেজেটে বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজনানুসারে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ উদযাপন করছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করা না যাওয়ায় ইতোমধ্যে মুজিববর্ষের মেয়াদকাল ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যেই আগামী বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন