রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে এখন রাজশাহীতে সাজ সাজ রব। সম্মেলনের স্থান ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে চলছে বিশাল আয়োজন। আগামী ১ মার্চ এখানে হবে সম্মেলন। ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে। এবার আরো বড় পরিসরে হতে যাচ্ছে সম্মেলন।
সম্মেলন ঘিরে ব্যাস্ত নেতাকর্মী আর সম্ভাব্য পদ পদবী প্রত্যাশীরা। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নগরজুড়ে লাগিয়েছে পোষ্টার আর বিলবোর্ড। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছুটছেন দলের নেতাকর্মীদের কাছে। নিজেকে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরছেন। সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা। কেউ বলছেন এবার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। আবার কারো অভিমত তেমনটি হবার সম্ভাবনা নেই। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে এগিয়ে রাখছেন বর্তমান সভাপতি ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে।
সবচেয়ে বেশী আলোচিত হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে। গত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হন ডাবলু সরকার। এবারো তিনি প্রার্থী। এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি পেতে একডজন প্রার্থী তৎপর রয়েছেন। তারা নিজেদের ভূমিকার কথা তুলে ধরছেন নানাভাবে। সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে রয়েছেন বর্তমান সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নাইমুল হুদা রানা, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবু, বিশিষ্ট সাবেক ছাত্রনেতা আহসানুল হক পিন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুজ্জামান, হাবিবুর রহমান রহমান বাবু, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার ও আজিজুল আলম বেন্টু, অধ্যাপক শফিকুর রহমান বাদশা, রহমান বাবু, মোস্তাক হোসেন, আশরাফ হোসেন নবাব, রমজান আলী ও জুবায়ের রুবন, মাসুদুর রহমান তেতুসহ আরো কয়েকজন তৎপর।
সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রত্যাশা এবারের কমিটি হবে বিতর্কিতমুক্ত ব্যাক্তি। কমিটির কোন পদেই যাতে কোন বিতর্কিত নেতা না থাকে সে প্রচেষ্টা থাকবে। স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব যেন পদে আসতে পারে সেটা দলের সভানেত্রীর কাছে প্রত্যাশা। সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল করার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। তৃণমূলের প্রত্যাশা কোন অনুপ্রবেশকারী দূর্নীতিবাজ বা হাইব্রীড নেতা যাতে পদ না পায়। অনেকে সদ্য সমাপ্ত হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও কমিটির বিষয়টা উচ্চারিত হচ্ছে তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে। সম্মেলনে তাদের মতামতের ভিত্তিতে হবে না জেলার মত কমিটি উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া হবে এনিয়ে সংশয়ে রয়েছে।
সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ থাকলেও সম্ভাব্য নেতৃত্বের বিষয়টা তাদের ভাবাচ্ছে। তৃণমূলের মতামত উপক্ষো করে দুর্বল নেতৃত্ব চাপিয়ে দেয়া হলে সাংগঠনিক ভাবে দলীয় কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হবে। সবার প্রত্যাশা দলীয় সভানেত্রী সবদিক বিবেচনা করে সঠিক নির্দেশনা দেবেন। আসবে কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন