ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের অর্থায়নে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুড়াখাল বাজার থেকে কুরুন্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার ফুট সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে এসেও আর এগুতে পারছে না। প্রভাবশালীদের বাধার মুখে সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে পড়ায় চারটি গ্রামের দশ সহস্রাধিক মানুষের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এর ফলে স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় অনেকটাই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঙ্গরা থানায় অভিযোগ করে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কুড়াখাল, কুরুন্ডী, রোয়াচালা, ও চুলুরিয়া গ্রামের দশ হাজার বাসিন্দা সড়কের অভাবে বর্ষা মৌসুমে নৌকা এবং শুস্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হতো। রিকশা-সিএনজি এবং অটোরিকশাসহ যানবাহন নিয়ে চলাচলের কোন ব্যবস্থা ছিল না। ওই গ্রামগুলোর কোন অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে আদিম যুগের পদ্ধতি ব্যবহার করতে হতো।
চার গ্রামবাসীর বিষয়টি স্থানীয় এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ওই এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের অধীনে একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রথমে ২০১৮ সালের দিকে একটি বরাদ্দ প্রদান করেন। এতে গ্রামবাসীদের পায়ে হেঁটে চলার ব্যবস্থা হলেও গ্রামবাসীরা গাড়ি এবং রিকশা সিএনজি নিয়ে নিজ গ্রামে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় এমপির নিকট আবারও আবেদন জানায়। আবেদনে সাড়া দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কুড়াখাল বাজার থেকে কুরুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার ফুট রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এলাকার মুরুব্বি হাজী ফজলুল হক, সহিদ ভ‚ইয়া, আব্দুল মজিদ, আব্দুছ ছালাম, সেলিম ভূইয়া, হুমায়ন ভ‚ইয়া, মিজান সরকার জানায়, গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এ কাজের শেষ পর্যায়ে এসে স্থানীয় কয়েকজনের বাধায় গ্রামবাসীর স্বপ্নের সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় গ্রামের মানুষরা অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস বলেন, কুড়াখাল-কুরুন্ডী সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানের বিষয়ে আমি তিন শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন