চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত ছিল ময়লা অর্বজনারস্তূপ, সৈকতে আসা পর্যটকরা নিবিঘের্œ চলাফেরা করতে পারতো না। পর্যটকেরা সৈকতের এরকম পরিবেশ দেখে দিনদিন সৈকত থেকে মুখফেরাতে শুরু করেছে। গত ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ‘পর্যটন আকর্ষণ হারাচ্ছে পারকি সৈকত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে উঠেন উপজেলা প্রশাসন। সৈকতকে পরিস্কার রাখতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহেমদ।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহেমদের নেতৃত্বে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন স্থানীয় সামাজিক সংগঠন বিডি ক্লিন, গ্রাম-পুলিশ ও স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্, উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের বিষয়গুলো আমনে নিয়ে তিনি সৈকতের বালি উত্তোলনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন। সাথে-সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদদপ্তর, পর্যটন কর্পোরেশনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পারিক সৈকতকে পর্যটনদের আনন্দ মুখর গড়ে তুলতে কাজ করবে বলে জানান। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে পারকি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তারমধ্যে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৪ জন, ফটোগ্রাফার ২১ জন, চৌকি ও ছাতা বসানো হয়েছে শ’টি, টয়েলেট ৪টি, ওয়াশরুম ১টি, গাড়ি রাখার জন্য করা হয়েছে পাকিং এর সুব্যবস্থা।
এছাড়া ২০১৭ সালের জুলাই মাসে পারকি সৈকতকে আধুনিকায়ন ও সৈকতকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ৩ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে ১৪টি বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক কটেজ, ১টি মান সম্মত বার, ২টি পিকনিক সেড়, ২টি কিডস কর্তার জোন, আধুনিক রেস্তুরা ও কনভেনশন হল, চেঞ্জিন শেড়, ওয়াটিং রুম ও কার পার্কিং জোন। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। ১৩.২৬ একর জমিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন