বোমা বিস্ফোরণের মধ্যেই সোমবার পৃথক দুটি অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে দুই প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করেছেন । দুই নেতার মধ্যে দ্ব’ন্দ্ব নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ার পর সোমবার দেশটিতে এ নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।–আল জাজিরাহ
যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে। এই চুক্তির মাধ্যমে ওয়াশিংটন চেষ্টা করছিল আফগানিস্তানে ১৮ বছরের যুদ্ধে সমাপ্তি টানতে। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আশরাফ ঘানিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লা আবদুল্লা এই ফলাফল মেনে নেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ফল ঘোষণা হলো নির্বাচন কমিশনের একটা প্রতারণা এবং আশরাফ ঘানির সঙ্গে কোনো সমঝোতায় আসতে চান না তিনি।
নজিরবিহীনভাবে তারা দুজনই শপথ গ্রহণ করেছেন একই সময়ে। আল জাজিরা জানায়, এদিন কাবুলের প্রেসিডেনশিয়াল প্রাসাদে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির শপথ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মার্কিন সরকার ও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ন্যাটোর সেনা কমান্ডাররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আশরাফ গনির প্রধান প্র’তি’দ্ব’ন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহও বিশাল আয়োজন করে রাজধানীর আরেক স্থানে সপেদার প্রাসাদে শপথ নেন। বর্তমানে আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বরত আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর পক্ষেও দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকের সমর্থন রয়েছে। দুটি প্রাসাদই দলীয় সমর্থকদের দিয়ে পরিপূর্ণ ছিল।
এর আগেও এই দুই নেতার মধ্যে দ্ব’ন্দ্বে’র কারণে আফগানিস্তানে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু একই পদে দুইজন আলাদাভাবে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান নতুন করে রাজনৈতিক সং’ক’টে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আশরাফ ঘানির শপথানুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটনের শান্তি দূত জালমি খলিলজাদ, জেনারেল অস্টিন এস মিলার ছাড়াও মার্কিন দূতাবাসের চার্লস ডি’এ্যাফেয়ার্স এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের আফগানিস্তান বিষয়ক প্রতিনিধি। আবদুল্লা আবদুল্লার অভিষেক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার হয় প্রাইভেট টলো টেলিভিশনে। এখানে উপস্থিত ছিলেন জিহাদী কমান্ডারেরা, যারা ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বে তালেবানদের উৎখাতের জন্য যৌথবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন