শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে হবে

প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দেশ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। অথচ সরকার নির্বিকার। যেন কিছুই করার নেই। এ টাকার মালিক জনগণ। যারা দুই বেলা দু’মুঠো ঠিকমতো খেতে-পরতে পায় না, যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, শরীরের রক্ত পানি করে দেশে-বিদেশে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাদের। একশ্রেণীর লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, রাঘববোয়াল সেই কষ্টার্জিত টাকা বিদেশে নির্বিঘেœ পাচার করে দিচ্ছে। বিদেশের মাটিতে গাড়ি, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা গড়ে তুলছে। এমনকি সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়ার মতো দেশকে নিজেদের ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়ে ফেলছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, শুধুমাত্র গত ১০ বছরেই দেশ থেকে ৩৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এর আগেও যা পাচার হয়েছে সেগুলোসহ হিসাব করলে কয়েক লাখ কোটি ডলার হয়ে যাবে। এক বিসমিল্লাহ গ্রুপ নামের এক কোম্পানির মালিকই ১ হাজার দুইশ কোটি টাকা পাচার করে এখন আরব-আমিরাতে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন। হলমার্ক গ্রুপ ৪ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। এই তো সেদিন তদন্তে প্রমাণিত একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চলে গেছে ফিলিপাইনের জুয়ারিদের জুয়ার টেবিলে। এ ছাড়াও অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। অথচ সরকার সেই টাকা উদ্ধার না করে জনগণের ওপর আরো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। ভ্যাট দিবসে ‘সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী’ বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের মালিকের হাতে বড় বড় ট্রফি তুলে দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এই ট্রফির মালিক কল-কারখানার শ্রমিক, কুলি, মুটে-মজুর, হকার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও এদেশের শ্রমজীবী কৃষকরা। এভাবে চলতে থাকলে জনগণ নিঃস্ব হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাবে। তাই সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাই, জনগণের ওপর আর করের বোঝা না চাপিয়ে পাচার হওয়া আমাদের কষ্টার্জিত টাকাগুলো ফিরিয়ে আনা হোক।
মিলন সরকার
বাঁচাইয়া, কচুয়া-চাঁদপুর।

আমাদের পরিত্রাণ কোথায়?
অন্তহীন সমস্যার ছোট্ট এই বাংলাদেশে ১৬ কোটি নর-নারীর অর্ধেকের বেশি মানুষের অঙ্গে ছেঁড়া বস্ত্র, অর্ধেক শিশুর খাদ্য নেই, অর্ধেক শিশুর শিক্ষা নেই। শিষ্ট আচরণ পালনের সামান্যতম শিক্ষা নেই অধিকাংশ মানুষের। সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যাও অন্তহীন। একের পর এক ঘটে চলেছে খুনের ঘটনাও। নাগরিক জীবন বড়ই দুঃসহ এবং সংগ্রামশীল। এ কথা সত্য, একুশ শতকে এসে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্যবস্থা-অব্যবস্থা ছাড়াও প্রতি মুহূর্তে নানামুখী সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে হয় আমাদের। আর অক্টোপাসের মতো এসব সমস্যার বিড়ম্বনা এবং নিরাপত্তাহীনতা আমাদের জাপটে ধরে, ফেলে দেয় অস্তিত্ব সংকটে। এ অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ কোথায়? আমরা আশা করব দেশের মানুষকে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেবে।
মো. এনামুল হক লিটন ও সাহেনা আক্তার হেনা
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক
চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ।

ডাক পিয়নদের জীবন
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি সরকারি দফতর ডাক বিভাগ। এক সময়ের একক আধিপত্য বিস্তারকারী এই ডাক বিভাগ হেরে গেছে সময়ের কাছে। জনবলের প্রতিও নজর নেই ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষের। ডাক বিভাগ এখন বাংলাদেশের অবহেলিত একটি বিভাগ। বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ডাকঘর রয়েছে। এই ডাকঘরগুলোতে একজন করে পিয়ন আছে। এই পিয়নদের বেতন-ভাতার করুণ অবস্থার কথা কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন? সরকারি একটি প্রতিষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ে চাকরি করে ডাক পিয়নরা অবহেলিত জীবনযাপন করছেন। তাদের বেতনের কথা লজ্জায় কারো কাছে প্রকাশ করে না। ১২০০ টাকা বেতনের এই চাকরিজীবীদের জীবন এখন কোন পথে? কীভাবে চলছে তাদের সংসার? এতে তাদের ভবিষ্যৎই বা কি? ডাক পিয়নদের প্রতি আর অবহেলা নয়। ডাক পিয়নদের এই লজ্জাজনক বেতনের কথা কল্পনাই করা যায় না। তাদের বেতনের প্রতি সরকারের সুনজর অত্যন্ত জরুরি।
মোঃ আজিনুর রহমান লিমন,
গ্রাম : আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাক : চাপানী হাট, উপ : ডিমলা, জেলা : নীলফামারী।

কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মে অতিষ্ঠ গ্রাহক
কুমিল্লা জেলার তিন হাজার ছয়শত সাইত্রিশটি গ্রামজুড়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের অত্যাচার, অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার রিডাররা মিটার না দেখে অফিসে বসে মন গড়া মতো ইউনিট ও বিল তৈরি করে আসছেন। এতে মাস শেষে বিপুল পরিমাণ ইউনিট জমা হয়ে আছে। গ্রাহকদের মাঝে হতাশা তাদের প্রয়োজন অফিস, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিতে পারেন, কিন্তু অসৎ কর্মকর্তাদের নেওয়া অ্যাডভান্স হাজার হাজার ইউনিটের কী উপায় হবে? কেনই বা সরকারি প্রতিষ্ঠানটি যেনতেনভাবে তাদের এমন ক্ষতি করল। বিষয়টি দেখার জন্য গ্রাহকরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আবুল কালাম জুয়েল ও আজিম উল্যাহ হানিফ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন