শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ হওয়ার আড়াই বছর পর মায়ের কোলে ফিরল শিশু মুসা

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম

লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় আড়াই বছরপর হারিয়ে যাওয়া শিশু মুসাকে ফিরে পেল তার মা। মা প্রবাসে থাকায় আর নিকটাত্মীয়দের উদাসীনতার কারণে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল।

বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মদ ফাহ্দ বিন-আমিন চৌধুরী শিশুটিকে তার মা খতিজা বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

সমাজেসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট চাঁদপুরের ওয়ারলেস মোড় এলাকা থেকে জিয়া উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মূছাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি শিশুটিকে নিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ মুসাকে চাঁদপুর শিশু পরিবারে হস্তান্তর করে।

পরে ৪ আগস্ট সেখান থেকে তাকে লক্ষ্মীপুর শিশু পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে মুসা লক্ষ্মীপুর শিশু পরিবারে ছিল ও তাকে বিদ্যালয়েও ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান করেও তার আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) কমলনগর উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার একটি বাড়িতে শিশুটির আত্মীয়-স্বজনের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই বাড়িতে গেলে তার মা খতিজা বেগমকেও পাওয়া যায়।

শিশু মুসা ও তার মা খতিজা বেগম জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে খতিজার স্বামী সাখাওয়াত উল্যা তাদেরকে ছেড়ে চলে যায়। সাখাওয়াত সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৩ বছর আগে কাজের সন্ধানে খতিজা সৌদি আরব যান। তখন ছেলে মুসাকে সদর উপজেলার পুরাতন তেওয়ারীগঞ্জ এলাকায় তার সৎ মা কাজল আক্তারের কাছে রেখে গেছেন। কিন্তু প্রায়ই মুসাকে সৎ নানি ও মামা গিয়াস উদ্দিন মারধরসহ বিভিন্ন ধরণের শারিরীক নির্যাতন করতো। ঠিকমত খেতে দিতো না। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আড়াই বছর আগে এক সকালে মুসা নানির বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, মুসার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার মাকে খুঁজে পেয়েছি। পরে তার মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন