রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

করোনাভাইরাস আতঙ্কে কুবির শিক্ষার্থীরা

মেহেদী হাসান মুরাদ, কুবি থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বে করোনাভাইরাস এখন একটি আতঙ্কের নাম। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। আবাসিক হলগুলোর চিত্র চাহিদার বিপরীধে আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় অনেকটা দ্বিগুণ শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকছেন। দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গণরুম ২০৫ এ ৪২ জন, ৩০৫ এ ১৯ জন, ১০৮ এ ১২ জন এবং ১০২ ও ১০৩ এ ১০ জন। কাজী নজরুল ইসলাম হলের ১০৬ এ ২০ জন। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ১০০৪ এ ১২ জন, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের ১০৭নং রুমে ১২ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে অবস্থান করছে। যেখানে অধিকাংশ রুমের ফ্যান, লাইট বিকল হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রতি তলায় ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ওয়াশরুম মাত্র ৬টি। ফলে করোনার মতো মরণব্যাধি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে সহজে। করোনা প্রতিরোধ করতে ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেমিনার স্থগিত করা হয়েছে, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরণের সর্তকতামূলক বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়নি।
আইইডিসিআর এর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ মুহূর্তে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনের মাধ্যমে জীবানুমুক্ত থাকা। কিন্তু হলের আশপাশের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারে নেই প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ।
গণরুমের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যেখানে ৪ জনের রুম সেখানে আমাদের থাকতে হয় ৩০-৪০ জন। রাতে অধিকাংশ সময় ঘুমাতে পারি না। ঘুমাতে গেলে একজনের নিঃশ্বাস আরেকজনের মুখে লেগে যায়। যেটি খুবই অস্থতিকর।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের ডা. মাহামুদুল হাসান খান বলেন, গণরুম করোনাভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম সোর্স। এখানে অনেকজন একসাথে থাকে ফলে হাচিঁ-কাশি থেকে করোনা ছড়াতে পারে। জনসমাগম থেকে দূরে থাকতে হবে।
করোনা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো প্রকারের ব্যবস্থা নিবে কিনা জানতে রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আমরা করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে সেমিনারের আয়োজন করবো। এখন গণরুমের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। নিজেদেরকে সচেতন থাকতে হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিন্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন