করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইতিমধ্যেই থমকে গেছে ক্রীড়াঙ্গণের চাকা। নিরাশার কথা, কবে নাগাদ তা সচল হবে; সেটাও নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। তবে এই ধাক্কা কাটিয়ে আবার যখন চালু হবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাগুলো তখন খেলোয়াড়দের উপর বেশ ধকলই যাবে অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে, স্বল্প সময়ের ফারাকে খেলতে হবে একের পর এক ম্যাচ। ভ্রমণ ক্লান্তি কাটানোর সুযোগও হবে না। সেটা যেন না হয় তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের ফরম্যাট পাল্টানোর প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে উয়েফা।
২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো পর্ব প্রায় শেষ। বাকি ছিলো কেবল ম্যানচেস্টার সিটি-রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস-লিঁও, বায়ার্ন মিউনিখ-চেলসি ও বার্সেলোনা-নাপোলির দ্বিতীয় লেগ। খেলা আবারও চালু হলে দ্রæতই সেই ম্যাচগুলো শেষ করে উয়েফার নজর থাকবে কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে।
এখান থেকেই পাল্টাতে পারে ফরম্যাট। দুই লেগের জায়গায় একটি করে লেগ আয়োজন করা যায় কিনা সেই প্রস্তাব নিয়ে গত সপ্তাহে ৫৫টি সদস্য দেশের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বসবেন উয়েফা পরিচালক জর্জিও মার্চেত্তি। প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে হতে পারে ভোট। যদি এক লেগে খেলা হয় তাহলে নিজ মাঠে সমর্থকদের সমর্থন পাবে না দলগুলো। ড্রয়ের মাধ্যমে বেছে নেয়া হবে কোন নিরপেক্ষ ভেন্যু।
কোয়ার্টারের মত সেমিফাইনালও হবে এক লেগের। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হবে যে, দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে তুরস্কের আতার্তুক স্টেডিয়ামে। সেমিফাইনাল শেষ হওয়ার চারদিন পরেই হবে ফাইনাল। ফাইনালে যাওয়া দুই দলকে সেক্ষেত্রে বাড়তি ভ্রমণ করতে হবে না, বাঁচবে সময়ও। ইউরোপা লিগের ব্যাপারে একই সিদ্ধান্ত নিতে চায় উয়েফা। প্রস্তাব গৃহীত হলে দুই সেমিফাইনালসহ ফাইনাল হবে পোল্যান্ডের দেন্সক স্টেডিয়ামে।
উয়েফার চিন্তার এখানেই শেষ নেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ আয়োজনের পর সংস্থাটিকে ব্যস্ত থাকতে হবে ২০২০ ইউরো আয়োজন নিয়ে। ১২ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিলো টুর্নামেন্টের। শঙ্কা আছে স‚চি পিছিয়ে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে ফিফার সাহায্য চাইবে সংস্থাটি, অনুরোধ করবে যেন ২০২১ ক্লাব কাপ পিছিয়ে দেয় ফিফা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন