চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাঁচাইয়া-নয়াকান্দি সবচেয়ে কাছের যে স্কুলটি সেটিও প্রায় চার মাইল দূরে অবস্থিত। ফলে আমাদের মেয়েরা পথে-ঘাটে বখাটে ছেলেদের দ্বারা উত্ত্যক্ত হতো। এহেন অবস্থায় এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী স্কুল কলেজে পড়–য়া তরুণ উদ্যোক্তা একটি স্কুল স্থাপন করে, যার বয়স আজ প্রায় দশ বছর হতে চলল। বিএনডি, ফোরাম হাইস্কুলের (বাঁচাইয়া-নয়াকান্দি ডেভেলপমেন্ট ফোরাম হাইস্কুল) শিক্ষার্থীরা স্থানীয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক পরীক্ষাগুলোতে ঈর্ষণীয় ফলাফল করছে ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। এত সফলতার পরও স্কুলটির চোখে পড়ার মতো নেই কোনো অবকাঠামো। দুটি দোচালা ঘরে গাদাগাদি করে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করতে হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নির্মল বিনোদনের জন্য নেই খেলার মাঠ। আর্থিক দুরবস্থার কারণে শিক্ষকদেরও প্রাপ্য সম্মানী দেওয়া যাচ্ছে না। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে স্কুলটি অবকাঠামোমূলক উন্নয়নের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো অনুদান পাওয়া যায়নি। আমাদের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। আমরা আশাকরি সরকার আমাদের এই স্কুলটি সার্বিক উন্নয়নে তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।
মিলন সরকার, বাঁচাইয়া, পালাখাল, কচুয়া, চাঁদপুর।
পেনশন মঞ্জুরিতে হয়রানি
সরকারি চাকরি থেকে অবগর গ্রহণ করা মানেই হয়রানি। এই হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য সরকার ১৯৯২ সালের পেনশন সহজিকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করে। এর পরেও হয়রানি অব্যাহত থাকায় পেনশন অধিকতর সহজিকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয় ২০০৯ সালে। এ বিধিমালার পেনশন ও পেনশন সংক্রান্ত অন্যান্য আর্থিক সুবিধা মঞ্জুরি ও পরিশোধ করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কোনো কারণে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মঞ্জুরি ও পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য সরকারি দফতরে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হওয়ার বিধি রয়েছে। তারপরও পেনশন মঞ্জুরির হয়রানি বন্ধ হয়নি। মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে খুশি না করলে পেনশন পাওয়া দুরূহ। এ কারণে পেনশন মঞ্জুরির হয়রানি বন্ধের নিমিত্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট থেকে ১৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে সুপারিশসহ নির্দেশনা দেওয়া হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ পেনশন বিধিমালার এক সংশোধনী আদেশ জারি করে। কিছু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পেনশন মঞ্জুরির হয়রানির অবসান হচ্ছে না। অবসর উত্তর ছুটি শেষ হওয়ার এক মাস আগে পেনশন মঞ্জুরির বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রায় ৭ মাস আগে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণ করে এখনো পেনশন পাচ্ছি না। ডাক অধিদপ্তর বিধিমালা উপেক্ষিত হওয়ায় পেনশন মঞ্জুরিতে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও সকারের সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ডাক বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে
বর্তমানে সাত হাজারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢালাওভাবে ভুঁইফোড় না বলে খোঁজ নিয়ে দেখুন উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কত? দেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। অথচ এক/দেড় যুগেও এমপিওভুক্ত হয়নি। ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছেন অর্ধ লাখ শিক্ষক। তাদের দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত জীবন ও আর্থিক অনিরাপত্তার ব্যাপারে কি কখনো খোঁজ নিয়েছেন? যন্ত্রণা যাদের দগ্ধ করে চলেছে, হতাশা যাদের সিন্দাবাদের ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে বসেছে তাদের জন্য কিছুই করার নেই? কবিতার ভাষাতেই বলিÑ জনসমুদ্র অবিরাম ঢেউ ভাঙে/অসভ্যজন শিল্পী সভ্যতার/¯্রােত নেই কোনো মানবিকতার গাঙে/প্রশ্ন আছে জবাব মেলে না তার...।
আলাউল হোসেন, কাশীনাথপুর, পাবনা।
উচ্ছেদ অভিযান সুষ্ঠু হওয়া কাম্য
আমরা দেখতে পাই, রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো সংস্থা উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কিছু দিন পরই আবার অবৈধ দখল হতে শুরু করে। আমরা লোক দেখানো উচ্ছেদ দেখতে চাই না। আবার উচ্ছেদ অভিযানের সময় যেন কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। কারণ যে কোনো কিছু উচ্ছেদ হলেই গাড়ি ভাঙচুরসহ নানা জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এতে বিভিন্ন জায়গার যে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, তাতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সৈয়দ সাইফুল করিম, মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৬।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন