কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করার জের ধরে বাদী ও তার পরিবারের নারী-পুরুষসহ পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের আবুল কাশেম গং তার প্রতিবেশী আবদুল আজিজের ছেলে আবদুল মমিন ও সিরাজুল ইসলামের নিকট হাওলাতী তিন লাখ টাকা পাওনা ছিল। দীর্ঘদিন টাকা না দেয়ায় আবুল কাশেম টাকা ফেরত চেয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে আবদুল মমিন ও সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
ফলে আবদুল মমিন ও সিরাজুল ইসলাম আবুল কাশেমের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে উল্টো আবুল কাশেমের পরিবারের নিকট ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা পাবে এবং তার ভাই সিরাজুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামি করা হয়- আবুল কাশেম, স্ত্রী মাকসুদা বেগম, তার ছেলে জুবেল, ভাই জাকির হোসেন, ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আনুকে। এদিকে মামলার পরে থানা পুলিশ আবুল কাশেমকে ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করলে ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। আবুল কাশেম সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, আবদুল মমিনের ভাই আবুল কাশেমকে তারা কোন মারধর করেন নি। আবুল কাশেমের কপালে একটি টিউমার ছিল। কৌশলে সেটা কেটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তারদের যোগসাজশে তাদের বিরুদ্ধে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে।
এ ব্যাপারে আবদুল মমিনের বক্তব্য জানতে চাইলে প্রতিবেদকের বক্তব্য শুনে ক্ষীপ্ত হয়ে নানান ধরনের হুমকি দিয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। আবদুল মমিনের দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ‘আঘাতের বিষয়ে ডাক্তার ভালো বলতে পারবে। মামলার সূত্র ধরে আবুল কাশেম নামের এক আসিামকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মামলাটি ভালো করে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন