রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আরচ্যার রোমান সানার উপলব্ধি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ৮:৫২ পিএম

করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে গেল বিশ্ব ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আসর টোকিও অলিম্পিক গেমস। আয়োজক জাপান মঙ্গলবার টোকিও অলিম্পিক স্থগিতের ঘোষণা দেয়ায় অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের তারকা আরচ্যার রোমান সানা। যিনি এবার সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। রোমান মনে করেন, টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য ভালোই হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে সব খেলা ও অনুশীলন বন্ধ থাকলেও অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রোমান সানা। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরটি ২০২১ সালের গ্রীস্ম পর্যন্ত স্থগিত হওয়ার ঘোষণার পরই নিজ বাড়ি খুলনায় চলে যান রোমান। বুধবার মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আমার জন্য ভালো হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলে প্রস্তুতি নেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না আমার। অলিম্পিকের আগে আমার যে সাতটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার কথা ছিল সেগুলো আগেই স্থগিত হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে টোকিও অলিম্পিক হলে আমার জন্য কিছুটা অসুবিধাই হতো। কারণ ওই সাত টুর্নামেন্ট না খেলেই আমাকে অলিম্পিকে খেলতে হতো। এখন অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় স্থগিত হওয়া টুর্নামেন্টগুলো খেলে টোকিওতে তীর-ধনুক নিয়ে নামতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।’

বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন মঙ্গলবার স্থগিত করেছে রোমানসহ আরচ্যারি দলের পুরো ক্যাম্প। টঙ্গির শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের এই ক্যাম্প আপাতত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনুশীলন আরো বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করা হলে নিজ বাড়িতেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করার ইচ্ছে রোমান সানার।

নভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনী রাস্তায় নেমেছে। শুধু অলিম্পিক স্থগিত হয়েছে বলেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীকে সহযোগিতা করতেই টঙ্গির স্টেডিয়ামে অনুশীলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় আরচ্যারি ফেডারেশন। বুধবার এমনটাই জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল। তিনি বলেন,‘দেশের স্বার্থে আমরা ক্যাম্প স্থগিত করে দিয়েছি। স্টেডিয়াম ছেড়ে দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য। সকল আরচ্যারদের আমরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যার যার বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। যে আরচ্যাররা বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি করেন, তাদের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বাহিনী নিয়েছে।’ তিনি যোগ করেন,‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদেরও মনে হয়েছে ক্যাম্প চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে নিরাপদ ও সুস্থ থাকাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে, তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নিয়ম মেনে চলার।’ ফের কবে ক্যাম্প চালু হবে এটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি চপল। তার কথায়,‘কবে নাগাদ ক্যাম্প শুরু হবে, সেটা এখনই বলতে পারছি না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। জাতীয় দলের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ আপাতত উত্তরার ফ্ল্যাটেই থাকবেন। বিদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে তাকেও তার দেশে পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশন।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন