বাগেরহাটের কচুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকের ধান ক্ষেতে লবণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার বারইখালী গ্রামের নূর মোহাম্মদ শিকদারের প্রায় দুই বিঘা ধানী জমিতে গতকাল রাতে লবণ দেওয়া হয়। যার ফলে ধানগাছগুলো মরে যেতে শুরু করেছে। অনেক গাছের গোড়ায় এখনও লবন পড়ে আছে। এ ঘটনায় নূর মোহাম্মদ শিকদার বাদী হয়ে প্রতিবেশী আবুল বিশ্বাস ও আলতাফ শেখের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নূর মোহাম্মদ শেখ বলেন, নিজের কোন ধানি জমি নেই। বর্গা নিয়ে জমিতে ধান চাষ করেছি। মাসখানেক পরেই এই ফসল ঘরে উঠবে। কিন্তু এই সময় আবুল ও আলতাফ শত্রুতার কারনে আমার মুখের খাবার কেড়ে নিলো। আবুল সবসময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলতো ১০ কাটা জমি আমাকে দিবি আর না হয় দেখে নিবো। আমি আমার কষ্টের টাকায় রাখা জমি না দেওয়াতে আমার এত বড় ক্ষতি করল। দুই বিঘা জমিতে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এ জমিতে কোন ধান হবে না। আমি পথের ফকির হয়ে গেছি। পরিবার নিয়ে কিভাবে বছর পার করবো জানিনা। বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো পথ নেই। আমি দোষীদের সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হতদরিদ্র এই কৃষক।
প্রতিবেশি আবেজান বেগম বলেন, নূর ও তার ছেলেদের ডাক চিৎকারে শুনে ছুটে এসে দেখি সারা জমিতে লবণ ছড়ানো।
খোকন সর্দার জানান, ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কষ্ট কৃষক ছাড়া কেও বুঝবে না। কারন এই ধানেই চলে কৃষকের জীবন। আমার বাড়ির পাশেই নূরের জমি। বাপ-বেটায় মিলে রাত দিন খেটে ফসল ফলিয়েছে, সেই ফসল যদি একরাতে শেষ করে দেয় তারচেয়ে মেরে ফেলা ভালো।
স্থানীয় আমিনুর শেখ, রেজা ইসলাম, মিরাজ শেখ বলেন নূর মোহাম্মদ খেটে খায়, পরিবার নিয়ে ভালো থাকার জন্য উদায়স্ত পরিশ্রম করে। কিন্তু এত বড় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে কিনা এবিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান বলেন জমিতে লবন দেওয়ার বিষয়ে নূর মোহাম্মাদ শিকদার নামের এক কৃষক একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন