রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লাউ গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৫৬ পিএম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা এক কৃষকের ৬ শতাংশ জমির লাউ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই কৃষক ও তার পরিবার।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গোপালপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষকের নাম নাজমুল ইসলাম ঝিকু।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষক তার আপন ছোট ভাই এনামুল ইসলাম পিকুলকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে কয়েকমাস আগে প্রায় ৬ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লাউয়ের চারা রোপণ করেছিলেন কৃষক নাজমুল ইসলাম। অনেক পরিশ্রম করে গাছগুলোকে লাউ ধরার উপযোগী করে গড়ে তোলেন। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার ভোরে লাউক্ষেতে লাউ সংগ্রহ করতে যান তিনি। জমিতে গিয়ে দেখেন একজন লোক তার লাউ ক্ষেতের ভিতরে উপুড় হয়ে কি যেন করছেন। এরপর তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলে লোকটি দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি বুঝতে পারেন লোকটি তার আপন ছোট ভাই এনামুল ইসলাম পিকু।

পরবর্তীতে তিনি লাউ ক্ষেতে প্রবেশ করে দেখেন সবগুলো লাউ গাছের গোড়া থেকে কাটা রয়েছে।

কৃষক নাজমুল ইসলাম ঝিকু জানান, জায়গা জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে তার আপন ছোট ভাই এনামুল ইসলাম পিকুলের বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনা ছাড়াও পিকুল তার জমির ফসল জোরপূর্বক ভাবে কেটে নিয়ে যায়। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে মাঝে মধ্যে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতি করা হবে বলে যখন তখন হুমকি দিত।

ভুক্তভোগী কৃষক আরও বলেন, প্রতিদিন ক্ষেত থেকে ১৫-১৬টি লাউ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু সবগুলো লাউ গাছের পাতা এখন মাচার ওপর নুইয়ে পড়েছে। গাছের সাথে এভাবে কেউ শত্রুতা করতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস হবে না।

এদিকে লাউ গাছের সাথে এমন শত্রুতায় হতবাক এলাকাবাসী। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না গ্রামের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের দাবি এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত এনামুল ইসলাম পিকুল বলেন, 'জমিজমা নিয়ে তার ভাই ঝিকুর সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সেইকারণে ঝিকু নিজেই লাউ গাছ কেটে এখন তাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।'

এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, 'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন