করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশ এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। কৌশলে রোগী সেজে ভাড়ার যাত্রী টানছে অ্যাম্বুলেন্স। শুধু তাই নয়, পিকআপ ও মাইক্রোবাসও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। আর যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণের বেশি। তবে এমন তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, ঢাকা থেকে যাতে কোনো লোক বাইরে যেতে না পারে এবং ঢাকার বাইরে থেকে কোনো মানুষ যাতে ঢাকায় আসতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদরদফতর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গেছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়েছে। যে উদ্দেশ্যে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ করা হয়েছে; গণপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। তারা বলেন, আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। আর অ্যাম্বুলেন্স প্রতারনার মাধ্যমে ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে করে প্রকৃত লোকজন সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা ব্যক্তিগত ও ভাড়ায়চালিত গাড়ি বের করেছেন সেসব গাড়ি জব্দে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। দুই জন যৌথভাবে চলাফেরা করলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
গতকাল ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি কাজী সাহান হক জানান, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে দিনভর কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী পরিবহন করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন